একা করোনায় রক্ষা নেই, উম্পুন দোসর! এই দুইয়ের দাপটেই বর্তমানে লণ্ডভণ্ড অবস্থা বাংলার। এদিকে, যত দিন যাচ্ছে, দেশের করোনার পরিস্থিতি ততই জটিল হচ্ছে। রোজই আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে ছাপিয়ে গিয়ে তৈরি করছে নয়া রেকর্ড। আর আজ সকালের খবর অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক ৬,০৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১.১৮ লাখ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক শুক্রবার সকালের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩,৫৮৩। দেশে বর্তমানে কোভিড-১৯-এ চিকিত্সাধীন রয়েছেন ৬৬,৩৩০ জন। সেরে উঠেছেন ৪৮,৫৩৪ জন। সেরে ওঠার হার বেড়ে হয়েছে ৪০.৯৭ শতাংশ। আগের দিনের থেকে এই হার সামান্য বেড়েছে। বৃহস্পতিবার এই হার ছিল ৪০.৩১ শতাংশ। সংক্রমণে বাড়ার কারণেই চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে ৩১ মে অবধি লকডাউন বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এদিন জানিয়েছেন, দিল্লীতে জোড়-বিজোড় নীতির ভিত্তিতে বাজারের দোকান খুলতে পারে। অটো, ই-রিকশা, সাইকেল রিকশা চলতে পারে, কিন্তু একজন মাত্র যাত্রী নিয়ে। ট্যাক্সি বা ক্যাব চলতে পারবে সর্বাধিক দু’জন যাত্রী নিয়ে। উত্তরপ্রদেশের নয়ডাতেও দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বন্ধ রাখা হচ্ছে দিল্লী-নয়ডা সীমানা। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার কর্মীরাই ছাড় পাবেন।
এদিকে, আসামে মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, কেউ ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন অমান্য করলে, তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের হবে এবং প্রয়োজনে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হতে পারে। হিমন্তের স্পষ্ট বক্তব্য, প্রভাবশালী হলেও কেউ ছাড় পাবে না! এদিকে, বৃহস্পতিবার সিআরপিএফে নতুন করে ৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে এক জনের। এর ফলে, আধাসামরিক এই বাহিনীতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৩৫, মৃত ২।