আজ বিকেলে গোটা দেশের বিরোধী দলগুলির ভিডিও বৈঠক নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কোন অস্ত্রে শান দেওয়া হবে, সেটাই প্রধান ভাবনা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। একেই করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ দিচ্ছে না কেন্দ্র। উল্টে রাজ্যের অধিকার তথা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভাঙার চেষ্টা করছে। আবার সেটাকেই কাজে লাগিয়ে বিরোধী দল পরিচালিত রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে রাজনীতি করছে বিজেপি। মনে করা হচ্ছে, আজকের বৈঠকে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়েই সরব হবেন।
সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে গোড়া থেকে থাকতে পারবেন না মমতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সঙ্গে নিয়ে আমপানের তাণ্ডবে একপ্রকার ধ্বংস হয়ে যাওয়া এলাকাগুলি আকাশপথে পরিদর্শন করে বিকেল চারটে নাগাদ (বিকেল তিনটে থেকে ভিডিও বৈঠক শুরু) বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। তৃণমূলের তরফে বিরোধীদের এই বৈঠকে গোড়া থেকে হাজির থাকার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গতকাল রাতে মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করে উম্পুনের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে জানতে চান সোনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। এই দুর্যোগে রাজ্য সরকারের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, মমতা আগামীকাল যে বিষয়গুলি নিয়ে সরব হবেন, তাতে সোনিয়ার দলেরও সিলমোহর থাকতে চলেছে। কেন্দ্র যে করোনা মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা করছে না, এ ব্যাপারে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাও সরব হবেন।
পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে সরাসরি টাকা তুলে দেওয়া এবং তাঁদের পুনর্বাসন নিয়ে বৈঠকে বলবেন সোনিয়া। অন্যদিকে, আয়করের আওতার বাইরে থাকা পরিবারপিছু সাড়ে সাত হাজার টাকা দেওয়ার দাবি জানাবেন সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। পরিযায়ী শ্রমিকদের বিনামূল্যে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা, দরিদ্র মানুষের হাতে খাদ্যশস্য তুলে দেওয়া, অতিমারির সঙ্গে লড়াই করা রাজ্যগুলির হাতে প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়ার মতো বিষয় নিয়েও সরব হবে বামেরা।