গত বুধবার দুপুর আড়াইটেয় সময় বাংলায় আছড়ে পড়েছিল উম্পুন। এরপর সেদিন গোটা সন্ধে ও রাতে বাংলায় মূলত দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। আর সেই ঘটনার সাড়ে ২৩ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে বাংলার এই দুর্যোগ নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে তিনি জানান, ‘বাংলায় ঘূর্ণিঝড় উম্পুনের দৃশ্য দেখছি। এই চ্যালেঞ্জের সময় গোটা দেশ বাংলার পাশে রয়েছে। রাজ্যের মানুষের মঙ্গল কামনা করছি। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। কেন্দ্রের শীর্ষ আধিকারিকেরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছেন। বাংলার সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর টুইটের মিনিট চারেক আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে টুইট করেন। আর প্রশ্ন উঠছে সেখানেই। কেন্দ্রীয় সরকারের দুই শীর্ষ ব্যক্তির বাংলার এই ভয়াবহ দুর্যোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে কেন প্রায় সাড়ে ২৩ ঘণ্টা লাগল, তা নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরের সঙ্গে আমজনতার মধ্যে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের মনে আরও একটি প্রশ্ন, অধিকাংশ জাতীয় সংবাদমাধ্যমে বাংলায় উম্পুনের তাণ্ডব নিয়ে খবর নেই কেন? এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের মন্তব্য, ‘আমরা এই বিষয়টা মানুষের বিবেচনার উপরেই ছাড়ছি।’
এদিকে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব কেন্দ্রের কাছে এখনও অবধি রাজ্যের জন্য আর্থিক সাহায্যের দাবি তোলেনি। এই বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের যুক্তি, ‘এখনও তো কতখানি ক্ষয়ক্ষতি, বোঝা যাচ্ছে না।’ কিন্তু কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা যুক্তি দিচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী তৎপর না হলে তিনি নিজেই রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে যেতেন। অমিত শাহের যুক্তি, ‘নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য দায়বদ্ধ। আমি নিজে বাংলা ও উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি।’