উম্পুনের তাণ্ডবে রীতিমত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে শহর কলকাতা। সেই ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে গতকালই পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, ‘আমার জীবন কালে তো বটেই আমার বাবার জীবন কালে বা কলকাতার ইতিহাসে এরকম তাণ্ডব কোনদিন হয়নি। উম্পুন বাংলাটাকে শেষ করে দিয়েছে। সারা কলকাতা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
তিনি বলছিলেন, ‘ভেবেছিলাম দু-তিনশ গাছ পড়বে। কিন্তু পাঁচ হাজারেরও বেশি গাছ পড়েছে। এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হাসপাতাল-শ্মশান ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ যাবার রাস্তা গুলো পরিষ্কার করা।’ আর এদিন শহরবাসীর উদ্দেশে তিনি বললেন, ‘সাতদিন সময় দিন, তার মধ্যে কলকাতাকে আবার সচল করে দেব।’
বুধবারের উম্পুন-তাণ্ডবের পর থেকেই কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন। তা নিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ-অবরোধও করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন সেই প্রসঙ্গেও ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, শুক্রবার যতটা সম্ভব, আর তা না হলে শনিবারের মধ্যে সমস্ত বিদ্যুৎ সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হবে। দরকার পড়লে আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ শেষ করব।’
এদিন উড়িষ্যার প্রসঙ্গ টেনে ফিরহাদ বলেন, ‘ফণীর পর উড়িষ্যা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে দেড় মাস সময় নিয়েছিল। আমাদের অত সময় লাগবে না। তবে আমাদের সাতদিন সময় দিন। এরমধ্যেই কলকাতাকে আবার সচল করে দেব। এটুকু সময় তো লাগবেই কলকাতাকে স্বাভাবিক করতে।
যত্রতত্র পড়ে যাওয়া গাছ, ফিরে না-আসা বিদ্যুৎ, বিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ। আর দু’জায়গাতেই আছে মৃত্যু। আসলে এ এক ধ্বংসলীলারই দুই করাল রূপ। যেখানে কলকাতা আর কাকদ্বীপে কোনও তফাত নেই বললেই চলে। তাই থমকে যাওয়া কলকাতা পুরো দক্ষিণবঙ্গের মতই এক ধ্বংসস্তুপ।