আর্থিক প্যাকেজের চতুর্থ কিস্তিতে একেবারেই খুশি নয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের চতুর্থ কিস্তির ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ওই দিনটিকে দেশের মানুষের ‘দুঃখের দিন’ বলে মন্তব্য করেন আরএসএস-এর মজদুর সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক ব্রিজেশ উপাধ্যায়।
তাঁর বক্তব্য, ‘প্রথম তিনদিনের ঘোষণা জনমানসে যতটা আনন্দ দিয়েছে, চতুর্থ দিনটি তাঁদের কাছে ততটাই হতাশা বয়ে এনেছে। আটটি প্রধান অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ এমন একটা সময়ে করা হচ্ছে, যখন করোনা মোকাবিলায় সরকারি ক্ষেত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং বেসরকারি ক্ষেত্র ও বাজার কার্যত পঙ্গু হয়ে পড়েছে। বেসরকারিকরণ মানেই ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই, নিম্নমানের কাজ এবং মুনাফা ও শোষন এইসব ক্ষেত্রে নিয়ম হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের নীতিনির্ধারকদের কাছে কাঠামোর সংস্কারসাধন বা প্রতিযোগিতার অর্থ হল বেসরকারিকরণ। কারোর সঙ্গে কোনও আলোচনায় না গিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আত্মবিশ্বাস হারিয়েছে সরকার।’
চতুর্থ কিস্তিতে বেসরকারি বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকেছে কেন্দ্র। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা, বেসরকারি সংস্থাকে কয়লা উত্তোলনের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। দেশে অস্ত্র উৎপাদনে জোর দেওয়া হবে। দেশে কিছু অস্ত্র তৈরি বাধ্যতামূলক করা হবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করা হচ্ছে। এছাড়াও, বিনিয়োগে অনুকূল পরিবেশের জন্য রাজ্যগুলির একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এই ধাপে ৮টি ক্ষেত্রের ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। কয়লা, খনিজ, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ বণ্টন, বিমান পরিষেবা, সৌর শক্তি, পারমাণবিক শক্তি, মহাকাশ ক্ষেত্রে নয়া ঘোষণা করেছেন নির্মলা সীতারমন। জানান, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে বিমানবন্দরের পরিচালনা ও সংস্কারের কাজ হবে। সামাজিক পরিকাঠামো নির্মাণে ৮১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। মহাকাশ ও পারমাণবিক গবেষণায় বেসরকারীকরণ নীতি লাগু হবে।