বেশ কিছু দিন ধরেই এলাকার রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলছিলেন নদিয়ার কল্যাণীর গ্রাহকরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন রেশন দোকানে হানা দিয়ে বেশ কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পেলেন কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিল কল্যাণী থানার পুলিশ।
অরূপ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি দল শহরের বিভিন্ন রেশন দোকান ও গমকলগুলিতে হানা দেয়। সেখান থেকে সরকারি গম উদ্ধার করেন তাঁরা। কল্যাণী ২ নম্বর বাজারের একটি গমকল থেকে প্রচুর পরিমাণে গম উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে অরূপবাবু বলেন, মানুষ খেতে পারছেন না। সেখানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ ভাবে সরকারি গম বিক্রি করছেন। অবিলম্বে এদের দোকান সিল করার আবেদন জানাবেন মহকুমাশাসকের কাছে।
এরপর তিনি হানা দেন কল্যাণী সীমান্ত এলাকার একটি গমকল দোকানে। সেখান থেকেও উদ্ধার হয় বেশ কিছু সরকারি গমের প্যাকেট। এ বিষয়ে গমকলের মালিক মিঠু সরকার নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, আমরা রেশন দোকান থেকে এগুলো কিনেছি। কোন রেশন দোকান থেকে সরকারি এই খাদ্য সামগ্রী তিনি পেয়েছেন তার সদুত্তর অবশ্য দিতে পারেননি।
খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশন দোকান চালাতে হলে তাদের দেওয়া লাইসেন্স ছাড়াও ডিলারের নিজস্ব চাল-গম-তেল রাখার গুদাম থাকা বাধ্যতামূলক। দোকানের সামনে গ্রাহকদের জন্য থাকবে ডিসপ্লে বোর্ড। বোর্ডে লেখা থাকবে কোন দিন থেকে কত চাল-গম, চিনি বা কেরোসিন বণ্টন করা হবে, মাথাপিছু তার পরিমাণ কত। প্রত্যেক গ্রাহককে ক্যাশমেমো দিতে হবে এবং মজুত কী থাকছে সে সম্পর্কেও জানাতে হবে।