করোনাভাইরাসের জন্য এবছর ফিকে হতে পারে বাঙালির দুর্গাপুজোর জৌলুস। কিন্তু তিনি তো অশুভশক্তিনাশিনী। তাই আর আরাধনা হবেই। আর সেই মাতৃআরাধনার পথে মাতৃদিবসেই এক উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নিলেন কলকাতার বিখ্যাত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যরা।
তাঁরাই এবার প্রতিমা নির্মাণের দায়িত্ব তুলে দিলেন ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্গা খ্যাত’ শিল্পী মিন্টু পালের হাতে। সোমবার এই প্রতিমা নির্মাণের অগ্রিম বরাত হিসাবে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা।
পুজো কমিটির সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, “পুজো ছোট হবে, কি বড় হবে সেটা আমরা জানি না কিন্তু পুজো তো একটা করতেই হবে। সেটা নমঃ নমঃ করে হলেও। দুর্গাপুজোকে ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে ৫০ হাজার কোটি টাকার বাজার তৈরি হয়। পুজো না হলে, বাজারটা পুরো ধ্বংস হয়ে যাবে। তাতে মারা পড়বেন হাজার হাজার গরিব মানুষ। আবার যদি অসুখটা থেকে যায় তাহলে পুজো দেখতে আসাটাও বিড়ম্বনা। সেক্ষেত্রেও বড় পুজো সম্ভব নয়। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে যদি বাঁচতে হয় তাহলে করোনার সঙ্গে লড়াই করেই বাঁচতে হবে”।
প্রতিবছরই থিমের চমকে সেজে ওঠে সন্তোষমিত্র স্কোয়্যার৷ আলাদা করে নজর কাড়ে মধ্য কলকাতার এই হেভিওয়েট পুজো। এই মণ্ডপেই মায়ের গায়ে উঠেছিল সোনার শাড়ি। তৈরি করা হয়েছিল বিশালাকার রথ। সেই রথ রুপোর পাত দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু এবছর তাঁদের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে মারণ ভাইরাস। এমন পরিস্থিতির জন্য এবছর ৮৫ বছরে প্রথম কোনও অভিনবত্বের কথা ভাবতে পারছে না সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার।