করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বের মতো ভারতেও মহামারীর আকার নিয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমণ যাতে দ্রুতহারে না ছড়ায় সেই জন্যে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২৫ মার্চ লকডাউন ঘোষণার পর থেকে এনিয়ে দু’বার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হল। কিন্তু ১৭ মে-র পরে কী হবে? লকডাউন কি আদৌ উঠবে, নাকি তার মেয়াদ ফের বাড়ানো হবে? কী ভাবছে কেন্দ্র? দেশের করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউন নিয়ে কী পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার সেবিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা দিক মোদী সরকার। শুক্রবার এই নিয়ে সোচ্চার হলেন রাহুল গান্ধী। যদি লকডাউন তুলেও নেওয়া হয়, তবে তারপরে কী কী পদক্ষেপ করবে সরকার, সেবিষয়েও স্বচ্ছ ধারণা দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, ‘লকডাউন তোলার পরেও বা কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেবিষয়ে সরকারের স্বচ্ছ বার্তা দেওয়া উচিত। ওঁরা কখন লকডাউন তুলবে, কী করবে সেবিষয়গুলো আমাদের সকলেরই জানা দরকার।’ শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে রাহুল আরও বলেন, ‘লকডাউনের কারণে যেসব মানুষজন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাঁদের সহায়তা প্রদান না করে আমরা এগোতে পারি না। এই লকডাউন আমাদের মধ্যে বিরাট এক মানসিক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এটা বুঝতে হবে। আমাদের মনে তো কোনও অন-অফ স্যুইচ নেই যে পরিস্থিতি অনুযায়ী সব বদলানো যাবে।’
করোনা ভাইরাস এবং তাকে রুখতে জারি করা লকডাউন সব মিলিয়ে দেশ এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে একথা বলে রাহুল গান্ধীর পরামর্শ, ‘এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয়ের খুব প্রয়োজন, সমন্বয়ের দরকার সাধারণ মানুষের সঙ্গেও।’ লকডাউনে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা সম্পর্কে কী ভাবছেন এই প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘এই সঙ্কটকালে সরকারের সমালোচনা করার সময় নয়।’
কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের গোটা দেশে ঠিক কতগুলো রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোন আছে তা নিশ্চিত নয়। কিছু সময় অন্তর অন্তরই পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিক ও দেশের দরিদ্রদের অবিলম্বে অর্থ সাহায্য করা প্রয়োজন। যা অবস্থা তাতে কেন্দ্র পদক্ষেপ না করলে একের পর এক মানুষের চাকরি যাবে, রীতিমতো বেকারত্বের সুনামি হবে।’