গতকালই কলকাতা হাইকোর্ট গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে দিয়েছে। বিচারপতির রায় অনুযায়ী, আগামী ১ মাস হাতে সময় থাকছে পছন্দ মতন কাজ করার। সেখানে কার্যত নো এন্ট্রি রাজভবনের। যার ফলে কার্যত শাপে বর হয়েছে বিজেপির ঠোকা মামলায়। আর কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায় হাতে নিয়েই এদিন দুপুর ১টায় কলকাতা পুরনিগমে বসল রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে প্রশাসকমণ্ডলীর প্রথম বৈঠক।
তবে এই বৈঠক বসার আগেই এসেছে সুখবর। আর তা হল শহরে কিছুটা হলেও কমেছে সংক্রমণের প্রকোপ। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরনিগমের ৪০টি ওয়ার্ডকে করোনামুক্ত এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগে এই সংখ্যাটাই ছিল ৩০। একই রকম ভাবে শহরের ৮টি বোরোতেও কমেছে সংক্রমণের প্রকোপ। এই ৮টি বোরো হল – ২, ৩, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ এবং ১১। আবার ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৬ এই চারটি বোরোতে সংক্রমিত এলাকার সংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন শূন্য এসে ঠেকেছে। এই তথ্য স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে কলকাতা পুরনিগমের কর্তাদের। এই স্বস্তির মধ্যেই বসল প্রশাসকমন্ডলীর প্রথম বৈঠক।
এদিন ঘড়ি ধরে ঠিক দুপুর ১টার সময়ে বসে গেল কলকাতা পুরনিগমে প্রশাসকমণ্ডলীর প্রথম বৈঠক। অধিবেশন কক্ষেই বসে সেই বৈঠক। এদিন প্রশাসকমন্ডলীর সম্প্রসারণ ঘটেছে। ৩জন নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তি ঘটানো হয়েছে এই মণ্ডলীতে। ১৪ জনের সঙ্গে যুক্ত করা হল আরও ৩জনকে। এদের মধ্যে ২জন স্পেশ্যাল কমিশনার এবং ১জন কমিশনার। এর পাশাপাশি এদিন প্রশাসকমন্ডলীর বৈঠকেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বেশ কিছু দায়দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে কাউন্সিলরদের কাঁধেও।
পুরনিগম সূত্রে জানানো হয়েছে এদিনের প্রশাসকমন্ডলীর বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে যে, পুরনিগমের সব কাউন্সিলররাই নিজ নিজ ওয়ার্ডের পুরনিগমের সহায়ক বা ‘কো-অর্ডিনেটর অফ কেএমসি’ হিসাবে কাজ করবেন। সেই সঙ্গে যারা বোরো চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করতেন তাঁরা এখন থেকে বোরো কো-অর্ডিনেটর হিসাবে কাজ করবেন। ‘কো-অর্ডিনেটর অফ কেএমসি’দের কাজ হবে এলাকার মানুষের কথা, তাঁদের সমস্যার কথা, তাঁদের চাহিদার কথা বোরো ও পুরনিগমকে জানানো।এদিনের বৈঠকে এটাও ঠিক হয় যে এবার থেকে প্রত্যেকদিন বিকাল ৪টের সময় এই প্রশাসকমন্ডলী রিভিউ মিটিং করবে। সেই সঙ্গে প্রতি ১৫ দিন অন্তর যেমন মেয়র ইন কাউন্সিলের বৈঠক হত, ঠিক তেমনি প্রতি ১৫ দিন অন্তর এই প্রশাসকমণ্ডলীর পূর্ণ বৈঠক হবে।