গত পরশুদিনই দেশে বাড়ানো হয়েছে লকডাউনের সময়সীমা। যা ৩ মে থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ মে। তবে একইসঙ্গে গোটা দেশকেই করোনার প্রকোপ অনুযায়ী, রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রীন- এই ৩টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। গ্রীন জোনে থাকা এলাকা স্বাভাবিক থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। তেমনই এই রাজ্যের গ্রীন ও অরেঞ্জ জোনে কোথায় কী ধরনের দোকান খুলবে, সেই সিদ্ধান্ত আগামীকাল, সোমবার চূড়ান্ত করবে রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
কোথায় কী ধরনের ছাড় দেওয়া হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বাস্তব পরিস্থিতি বুঝে কেন্দ্রের সেই নিয়মবিধি কার্যকর করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিন আগে প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তারা জানিয়েছিলেন, শনিবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে সরকার। কিন্তু দিন পরিবর্তন করে সেই নির্দেশিকা প্রকাশিত হওয়ার কথা সোমবার। তার আগে কোন এলাকায় কোন দোকান খুলবে, কোন দোকান খুললে সমস্যা হবে বা হবে না, কোথাও দোকান খুললে বা যানবাহন-সহ অন্য গতিবিধি চালু করলে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে কি না, কী ভাবে সরকার অনুমতি দেবে, সেগুলোও যাচাই করে দেখবে রাজ্য।
বেশ কয়েক দিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার দোকান খোলার নির্দেশিকা দিয়েছিল। তখনই রাজ্য কেন্দ্রের কাছে সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকার বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছিল। কারণ, রাজ্যের যুক্তি, এক দিকে যখন কঠোর লকডাউনের কথা বলা হচ্ছে, তখন উপযুক্ত ব্যাখ্যা ছাড়া যত্রতত্র দোকান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এর মধ্যে প্রশাসনিক কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে ফেলেছেন।