পরিযায়ী শ্রমিক ও রাজ্যের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের জন্য গুজরাতের রাজকোটে তৈরি করা হয়েছিল কমিউনিটি কিচেন। মূলত লকডাউন পরিস্থিতিতে দুঃস্থ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে রাজকোটে কমিউনিটি কিচেনের ব্যবস্থা করা হয়। কয়েকদিন আগে সেটি পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ রায়ানি। আর সেখানে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। ওই কিচেনের যেখানে রান্না জায়গা করা হয়েছিল, তার পাশেই থুতু ফেলেন সেই বিজেপি বিধায়ক। এই ঘটনার ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় পুরসভা। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনাও।
এই ঘটনা ঘিরে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হবার পর গত শুক্রবার বিধায়ক অরবিন্দ রায়ানি রাজকোট পুরসভার একটি রিসিট দেখান। যে রিসিট অনুসারে কমিউনিটি কিচেনে থুতু ফেলার জন্য তিনি ৫০০ টাকা জরিমানা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে বিজেপি বিধায়ক জানিয়েছেন, ‘আমি আমার জায়গায় থুতু ফেলেছি। কোনো সরকারি অফিসে থুতু ফেলিনি। তবুও আমি আমার ভুল স্বীকার করছি এবং আমি এর জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা দিয়েছি। রাজকোট কংগ্রেসের অফিস সেক্রেটারি বিরাল ভাট এক বিবৃতিতে জানান, যে কাজের জন্য সাধারণ মানুষকে জরিমানা দিতে হচ্ছে সেই একই কাজ করে রেহাই পেয়ে যাচ্ছেন বিজেপি দুষ্কৃতীরা। ওনার এটুকু বোধ নেই যে উনি অন্যদেরও বিপদের মুখে ফেলছেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে রুখতে বহুদিন আগেই প্রকাশ্যে থুথু ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে। মুসলিম ধর্মগুরুরাও রোজার সময়ে পথে ঘাটে থুথু না ফেলে তা গিলে ফেলতে বলেছেন। এতে রোজা ভঙ্গ হয় না বলে নিদানও দিয়েছেন তাঁরা। এর আগে কলকাতায় প্রকাশ্যে থুথু ফেলায় একজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। থানার গেটে থুতু ফেলায় এক প্রৌঢ়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার সেই থুতু কাণ্ডেই নাম জড়ালো স্বয়ং বিজেপি নেতার।