এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও গোটা বিশ্বজুড়ে খবরের শিরোনামে এসে গিয়েছিলেন তিনি। গত ১১ এপ্রিল থেকে তাঁর দেখা না মেলায়, গোটা বিশ্বেই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে মারাত্মক অসুস্থ উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন। এমনকী কয়েক দিন পরে তাঁর মৃত্যুর খবরও ছড়িয়ে পড়ে। তবে অবশেষে সব গুজব উড়িয়ে সামনে এলেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার এক সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী খবর, শুক্রবার হঠাতই একটি সার তৈরির কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হন কিম। জানা গিয়েছে, তিনি আসার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত অতিথি ও অন্যান্য ব্যক্তিরা আনন্দে চিৎকার করে ওঠেন। তাঁরা হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান কিমকে।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, কারখানার উদ্বোধন করার পরে সেখানে কিছুক্ষণ সময়ও কাটান কিম জং উন। ঘুরে দেখেন কারখানা। কী রকম ব্যবস্থা রয়েছে তা দেখেন। কীভাবে উৎপাদন বাড়ানো যেতে পারে, তার কিছু পরামর্শও দেন তিনি। শুধু তাই নয়। কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে উত্তর কোরিয়ার একনায়ক বলেন, তাঁর ঠাকুরদা ও বাবা শুনলে খুব খুশি হতেন যে আধুনিক ফসফেটিক সার তৈরির কারখানা কাজ শুরু করেছে উত্তর কোরিয়াতে। এই অনুষ্ঠানে কিমের বোন, উপদেষ্টা ও আরও কিছু আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। যদিও সেই অনুষ্ঠানের ছবি সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ১১ এপ্রিল এক বৈঠকের পর থেকেই দেখা মিলছিল না কিমের। ১৫ এপ্রিল তাঁর ঠাকুরদার জন্মদিনেও কিমকে দেখা যায়নি। উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে এই দিনের গুরুত্ব অসীম। তাই খুব ধুমধাম করে পালন হয় এই দিন। কিন্তু সেখানেও কিম অনুপস্থিত থাকায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কয়েক দিনের মধ্যে শোনা যায় গুরুতর অসুস্ত হয়ে পড়েছেন কিম জং উন। এমনকী গোটা বিশ্বজুড়ে তাঁর মৃত্যুর খবরও ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর পরে তাঁর কাকা, না বোন, কে উত্তর কোরিয়ার সিংহাসনে বসবেন তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়। অবশেষে সকলের সামনে এসে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন তিনি।