করোনার জেরে এবার রিলায়েন্স সংস্থাও কর্মীদের বেতন ছাঁটার সিদ্ধান্ত নিল। নিজেও বেতন নিচ্ছেন না মুকেশ আম্বানি।
করোনার জেরে দেশে লকডাউন৷ ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় তলানিতে৷ মুনাফার মুখ দেখছে না প্রায় কেউই। বিশাল অঙ্কের লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজকেও৷ তেল এবং পেট্রো কেমিক্যালের চাহিদা কমায় ভালো রকম ব্যবসা মার খাচ্ছে রিলায়েন্সের। শেষপর্যন্ত সংস্থার হাইড্রোকার্বন সেক্টরের কর্মীদের বেতন ছাঁটাইয়ের পথেই হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে সংস্থা৷ কর্মীদের বোনাস, এবং ইনসেন্টিভ দেওয়া হয় প্রথম ত্রৈমাসিকে। সেসবই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে লকডাউনের জেরে। মুকেশ আম্বানি তাঁর মাসিক বেতন ১৫ কোটি টাকার একাংশও নেবেন না বলেই জানা গিয়েছে। এছাড়া সংস্থার একজিকিউটিভ ডিরেক্টর, একজিকিউটিভ কমিটির সদস্য, উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের বেতনের ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কাটা হবে বলে জানা গিয়েছে। বার্ষিক ১৫ লক্ষ টাকার কম বেতনের কর্মীদের অবশ্য বেতন কাটা হবে না। ১৫ লক্ষের বেশি বার্ষিক আয় হলে বেতনের ১০ শতাংশ কাটা হবে। জানানো হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।
সংস্থার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর আর মেসওয়ানি জানিয়েছেন, ‘চাহিদা কমে যাওয়ায় হাইড্রোকার্বন এবং পেট্রোকেমিক্যালের ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে। তাই কর্মীদের বেতন কেটেই খরচ সামাল দেওয়া হবে।’
পাশাপাশি জানানো হয়েছে, প্রায় তিরিশ বছর পর সংস্থার পক্ষ থেকে এই প্রথম রাইট ইস্যু করা হবে। চলতি বছরের মার্চের হিসেবে ঋণের পরিমাণ কম করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বছরের শেষে সংস্থার ঋণ ছিল ৪৩ বিলিয়ন ডলার।