বর্তমানে ক্রিকেট নয়, বরং মানুষের জীবনই তাঁর কাছে মুখ্য বিষয়। মাঠে আবার কবে বল গড়াবে, তা নিয়ে কোনওরকম মাথাব্যথাও নেই তাঁর। বরং তিনি অনেক বেশি উদ্বিগ্ন, এই করোনা ভাইরাস কবে দূর হবে সেই নিয়ে। তিনি ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। এইসময় স্কুল, কলেজ বন্ধ। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তির প্রচেষ্টাই তাঁর কাছে এখন অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। আর সে জন্য প্রয়োজনে মন্দির, মসজিদগুলির দান বাক্সে পড়ে থাকা বিশাল পরিমাণ অর্থ কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন কপিল।
এর আগে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তহবিল গড়তে ভারত-পাকিস্তান সিরিজ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার। সেই প্রস্তাব তখন ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন কপিল দেব। এরপর শোয়েবের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে ভারতের কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের সমালোচনা করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি। তাতেও অবস্থান বদলাচ্ছেন না কপিল। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি তাঁর আগের মতেই অবিচল রয়েছেন।
কপিল বলেন, ‘আপনি আবেগতাড়িত হয়ে বলতে পারেন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ হওয়া উচিত। কিন্তু আমি বিষয়টা দেখছি বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। তাই আগেও বলেছি, আবারও বলছি, এই মুহুর্তে খেলা অগ্রাধিকার হতে পারে না। বর্তমান এই কঠিন পরিস্থিতিতে ক্রিকেট ছাড়া কি কথা বলার মতো আর কোনও বিষয় নেই? শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না, বন্ধ কলেজও। তাঁদের নিয়ে আমি বেশি উদ্বিগ্ন। কারণ ওরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই আমি চাই, আগে স্কুল-কলেজ চালু হোক। তারপর ক্রিকেট, ফুটবল নিয়ে ভাবা যাবে।’
এখানেই না থেমে এরপর আখতার-আফ্রিদির উদ্দেশে কপিল বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় আপনাদের যদি অর্থের প্রয়োজন হয় তবে সবার আগে সীমান্তে কার্যক্রম বন্ধ করুন। আর সেই অর্থ ব্যয় করুন হাসপাতাল ও চিকিৎসা পরিকাঠামো নির্মাণে।’ কপিলের মতে, করোনা মোকাবিলায় সমাজের সবারই সাধ্যমতো সাহায্য করা উচিত। এমনকি মন্দির বা মসজিদের দানবাক্সে যে টাকা রয়েছে সেগুলোও এখন ব্যবহার করার সময় এসেছে বলে মনে করেন তিনি।
ভারতের এই প্রাক্তন অলরাউন্ডারের মন্তব্য, ‘করোনার চিকিৎসা ও হাসপাতালগুলির উন্নতির জন্য কোটি কোটি টাকা আসতে পারে ভারতের বিভিন্ন মন্দির, মসজিদ বা গুরুদ্বার থেকে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির তহবিলে কোটি কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। এসব তো মানুষেরই দান করা টাকা। এখন সঙ্কটের সময় সেই অর্থ মানুষের কাজে ব্যয় করা উচিত বলে আমি মনে করি। সেটাই হবে প্রকৃত ধর্মপালন।’