সাধারণত ফুটবল মরশুম জুন মাস থেকে শুরু হয়ে মে মাস অবধি চালু থাকে। সেহেতু ফুটবলারদের সঙ্গেও সেভাবেই চুক্তি করে ক্লাবগুলি। কিন্তু এবার নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই ইস্টবেঙ্গলের সমস্ত ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি শেষ করে দিল তাদের ইনভেস্টর কোম্পানি কোয়েস। বেঙ্গালুরু অফিসের নির্দেশে কোয়েস ইস্টবেঙ্গল ফুটবল টিমের সিইও সঞ্জিত সেন ই-মেল করে শনিবার সন্ধ্যায় দলের কোচ ও ফুটবলারদের এই বিজ্ঞপ্তি জানিয়ে দিয়েছেন। এরপরেই দলের স্বদেশি ও বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের মিডিয়া ম্যানেজার জানান, ফোর্স মেজরের কারণ দেখিয়েই চুক্তি শেষ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সংস্থার সিইও বিতর্কিত সিদ্ধান্তের দিনে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ফোন ধরেননি। দেননি এসএমএসের জবাবও। কোয়েসের বক্তব্য, করোনার জন্য উদ্ভূত আর্থিক মন্দার কারণে ফিফার দ্বারস্থ হলেও ফুটবলারদের তেমন সুবিধা হবে না। যদিও সংবাদসংস্থাকে গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ামক সংস্থা ফিফা জানিয়েছিল, ‘মার্চ থেকে জুন মাসের মাহিনা বিশ্বের ক্লাবগুলি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমিয়ে দিলে ফুটবলাররা যেন তা মেনে নেন। তবে এটি নিছকই অনুরোধ, নির্দেশ নয়।’
এই প্রেক্ষিতেই ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা জানিয়েছেন, ‘কোয়েসের ই-মেল নিয়ে আমরা কথা বলছি এজেন্টদের সঙ্গে।’ কোয়েস কর্পোরেশনের তরফে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকেও মরশুমের শুরুতে ই-মেল করে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ফুটবল টিমের ব্যাপারে থাকছে সংস্থা। তারপর দুই তরফের সম্পর্কে ইতি পড়বে। এই ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা জানান, ‘কোয়েসের চিঠিতে স্পষ্ট লেখা আছে ৩১ মে পর্যন্ত ফুটবল টিমের দায়িত্ব তাঁদেরই। তাই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই সমস্যায় আমরা কোনো রকম হস্তক্ষেপ করব না।’