প্রথম দফার লকডাউন গত ১৪ এপ্রিল শেষ হওয়ার পর গোটা দেশে শুরু হয়েছেদ্বিতীয় দফার লকডাউন। যা আগামী ৩ মে অবধি স্থির করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও করোনা সমস্যা মেটা সম্ভব নয়। যার ফলে দেশের বিভিন্ন রাজ্য ফের কেন্দ্রের কাছে লকডাউন বাড়ানোর দাবি জানাতে পারে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র যদি লকডাউনের মেয়াদ নাও বাড়াতে চায়, তাহলে এই রাজ্যগুলিই নিজেদের উদ্যোগে তা বাড়িয়ে দিতে পারে, এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে।
দ্বিতীয় দফার লকডাউনের পর এই দেশে সংক্রমণ ক্রমশঃ বাড়ছেই। সরকারি হিসেবেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজারের কাছে। তবে তা সত্বেও সরকার ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করার পথেই হেঁটেছে। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পুরসভা এলাকার বাইরে বসতিপূর্ণ এলাকা ও বাজার এলাকায় এখন থেকে দোকানপাট খোলা যাবে। শপস অ্যান্ড এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইনের আওতায় যেসব দোকান নথিভুক্ত আছে, তাঁরা শনিবার থেকে ব্যবসা চালু করতে পারবে।
কেন্দ্রের এই নতুন নির্দেশিকার ফলে পুরসভা এলাকার বাইরে বাজার, বা আবাসনের আশেপাশে সব ধরনের দোকান খোলার অনুমতি পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কর্মচারীকে নিয়ে কাজ করা যাবে। অন্যদিকে পুরসভা এলাকায় পুরসভার অনুমতি নিয়ে একক দোকান এবং বসতিপূর্ণ এলাকায় দোকান খোলা যাবে। ইঙ্গিত মিলেছে ৩ মে’র পর একসঙ্গে না হলেও আস্তে আস্তে তুলে দেওয়া হবে বিধি-নিষেধ।
কিন্তু দিল্লী, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যগুলি লকডাউন আরও বাড়ানোর পক্ষে। পাঞ্জাব সরকার এ নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ছে। কমিটি চাইলে লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করবে তারাও। তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক সরকারও রয়েছে এই লকডাউনের পক্ষেই। অন্যদিকে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, লকডাউন ৩ মে উঠে গেলেও আরও দু’সপ্তাহ সময় নিয়ে চালু করা হোক সমস্ত পরিষেবা। সূত্রের খবর, আগামীকাল এই নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।