নববর্ষের পর অক্ষয় তৃতীয়া। এই দিনেও অনেকেই হালখাতা করে থাকেন। তার জন্য পুজো দিতে অনেকের কাছেই প্রিয় কালীঘাট মন্দির। কিন্তু করোনাভাইরাস ও লকডাউন এর জেরে এবছর নববর্ষের পর অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেও বন্ধ থাকছে কালীঘাট মন্দির। তার জন্য হতাশ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ভক্তরা। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই বন্ধ রয়েছে কালীঘাট মন্দির। প্রত্যেক বছর এই অক্ষয় তৃতীয়ার দিন লক্ষাধিক দর্শনার্থীর সমাগম হয় কালীঘাট মন্দিরে। তার জন্য আগের দিন রাত থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় কালীঘাট মন্দিরে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ভোর বেলা থেকেই লম্বা লাইন পড়ে যায় কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন এলাকাতে। মন্দিরের বাইরে থাকা মিষ্টি ব্যবসায়ীদের মধ্যে থেকে একজন বলছিলেন ” ভোর বেলা থেকেই প্রচুর ভিড় শুরু হয় এই অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। কার্যত মন্দির চত্বরে পা ফেলার জায়গা থাকেনা।” কিন্তু এবছর লকডাউন এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সেই ছবিটাই কার্যত বদলে দিল। তবে অন্যান্য দিনের মতো রবিবার রীতি মেনেই তিনদফাতেই পুজো হবে মা কালীর। মাকে দেওয়া হবে ভোগ প্রসাদও।
তবে পুজো হলেও রবিবার কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন এলাকাতে। তার জন্য কড়া নজরদারি রাখবে পুলিশ গোটা কালীঘাট মন্দির চত্বর জুড়ে।
অন্যদিকে ইতিহাসে প্রথমবার। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় অসমের কামাখ্যায় বন্ধ হয়ে গেল কামাখ্যা মন্দিরের পরম্পরা। বছরের পর বছর ধরে অসমে এই ‘অম্বুবাচী মেলা’-র আয়োজন হয়ে আসছে। জুন মাসে এই উৎসব হওয়ার কথা থাকলেও এখন থেকেই তা বাতিল করার ঘোষণা করা হয়। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুন্যার্থী, ভক্তরা এই মেলায় অংশগ্রহণ করতে আসেন।
কামাখ্যায় জুনে ‘অম্বুবাচী মেলা’-র আয়োজন করা হয়। ‘মা কামাখ্যা দেবালয়’ কর্তৃপক্ষ এই মেলার আয়োজন করে থাকে। সংস্থার তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সংক্রমণের আশঙ্কায় এই বছরে কামাখ্যায় মহোৎসব হবে না। কোনও তীর্থ যাত্রী, সাধু-সন্ন্যাসীরা যাতে সেই উৎসবের জন্য কামাখ্যায় না যান তার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, দেশজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারী বড় আকার নেওয়ায় এবার মহোৎসবের কোনও ব্যবস্থাই করা হবে না।