কয়েক দিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এম আর বাঙুর হাসপাতালের বলে দাবি করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে যে ব্যক্তির গলা শোনা গিয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে বলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছিল। আর সত্যতা যাচাই না করে সেই ভিডিওরই একটি স্ক্রিন-শট টুইট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় জানতে চান, এই ভিডিওটি করেছেন যে সোমনাথ দাস, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিনা? তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ আসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সেই টুইটের জবাবে এবার কলকাতা পুলিশের তরফে টুইট করে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, বাবুল সুপ্রিয়র দাবি করা তথ্য ভুল। সোমনাথ দাসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি কলকাতা পুলিশ।
যদিও তারপরও কলকাতা পুলিশের টুইটের প্রেক্ষিতে ফের আর এক টুইটে বাবুল দাবি করেন, কলকাতা পুলিশকে বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই। কারণ অনেকদিন ধরে তারা তৃণমূলের ‘দলদাসে’ পরিণত হয়েছে। আসানসোলের বিজেপি সাংসদ লেখেন, কলকাতা পুলিশ তাঁর প্রশ্নের জবাব দেওয়ায় তিনি খুশি হয়েছেন। তবে এরপরই তিনি লেখেন, আমরা যখন সারা দেশের পুলিশ বাহিনীর কাজের প্রশংসা করছি ও আপনাদের নিঃস্বার্থ পরিষেবাকে শ্রদ্ধার নজরে দেখছি, তখনও আপনাদের বিশ্বাস করার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। কেন আমি এ কথা বলছি জানতে চাইলে নিজেদের তৃণমূলের দলদাস হয়ে ওঠার ইতিহাসে উত্তর খুঁজুন। বাবুলের এ হেন মন্তব্যে ইতিমধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়। কলকাতা পুলিশের টুইটে কেন তাঁকে ‘মাননীয়’ বলে সম্বোধন করা হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বাবুল। এ নিয়েও মস্করা করতে দেখা গেছে একদল নেটিজেনকে।