রাজ্য এবং রাজ্যপাল সঙ্ঘাত যেন কিছুতেই থামার নয়। এই করোনা আবহেও বারবার রাজ্যের নানা সিদ্ধান্তে মুখ খুলে বিতর্কের সৃষ্টি করছেন জগদীপ ধনকর। প্রতিদিন সকালে উঠেই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে রাজ্য তথা মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগা যেন নিয়ম করেই ফেলেছেন তিনি। তবে ‘রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর যতই টুইট করুন, চিঠি লিখুন, আমাদের কিছু এসে যাবে না। ওঁকে ও সব করতে দিন’ বলে রবিবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে যখন লড়াই চলছে, সেই সময় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর অহেতুক মন্তব্য করছেন। তিনি কয়েক দিন চুপ থাকুন। রাজভবনে বসে সংবিধান বহির্ভূত কাজ করবেন না।’
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি সাংসদদের ত্রাণের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে। মানবতা-বিরোধী কাজ করছে। এই মুহূর্তে করোনাকে প্রতিহত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী বারবারই বলেছেন, আসুন আমরা একসঙ্গে নামি। বিজেপি নেতারা নিজেদের না শুধরে একই কাজ করছেন। রাজ্যপালকে টুইট এবং চিঠি লিখতে দিন। কোথাও ওঁদের সাংসদদের ত্রাণ দেওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয়নি। রাজনীতি করার অনেক সময় আছে। এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানো দরকার। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সেটাই করছেন। বাইরের রাজ্যে যাঁরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজভবনে বসে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করে যাচ্ছেন।’
অন্যদিকে, সুদীপ বলেন, ‘রাজ্যপাল অহেতুক লোকসভার স্পিকারকে টেনে আনছেন। আমি স্পিকারকে ফোনে সব জানিয়েছি। রাজ্যসভা ও লোকসভায় তৃণমূলের সাংসদরা একসঙ্গে স্পিকারের কাছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি জমা দেবেন। স্পিকারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি মাথা ঠান্ডা রাখতে বলেছেন।’ তাঁর সাফ কথা, ‘প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এর আগেও রাজ্যপালের সম্পর্কে বলেছি। আবার বলার সময় এসেছে। একজন মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নেমে গণ্ডি কেটেছেন। অন্য কোনও রাজ্যে এভাবে কোনও মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নামেননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়ে আমি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে ফোন করি। রাজ্যপাল সম্পর্কে সব বলেছি।’