বিশ্ব জোড়া করোনা সংকটের সময় ভারতের বিনিয়োগকারীরা কী ভাবছেন, তা জানার জন্য সমীক্ষা করেছিল বণিকসভা ফিকি। তাতে জানা যায়, ২০০৮-০৯ সালের বিশ্বজোড়া মন্দার সময় বিনিয়োগকারীরা যেমন হতাশ হয়ে পড়েছিলেন, এবারও তাই হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, একমাত্র তাহলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। ফিকির দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে রেপো রেট কমাতে হবে ১০০ বেসিস পয়েন্ট।
ফিকি মোট ১৯০ টি কোম্পানিকে ধরে সমীক্ষা চালায়। বছরে ১ কোটি থেকে ৯৮,৮৮০ কোটি টাকা পর্যন্ত যাদের টার্নওভার, তাদের নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছিল। তাদের দাবি, ব্যাঙ্কগুলি আরও সহজ শর্তে ঋণ দিক। শ্রমের বাজারেও সংস্কার করা হোক দ্রুত।
গত সপ্তাহেই আইএমএফ বলেছিল, বড় ধরনের মন্দার মুখে পড়তে চলেছে বিশ্ব অর্থনীতি। এরপর আলাদা করে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এই অঞ্চলে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে এখানে প্রায় ১৮০ কোটি লোক বাস করে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের আশঙ্কা, দক্ষিণ এশিয়া এমন মন্দার মুখে পড়তে চলেছে যা গত ৪০ বছরে পড়েনি।
ইতিমধ্যে মন্দার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এই সব দেশে। লকডাউনের ফলে সাধারণ অর্থনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাশ্চাত্যের দেশে থেকে এখানকার কারখানাগুলিকে যে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। আচমকা কাজ হারিয়েছেন এক বিপুল সংখ্যক গরিব মজুর।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে ভারত সম্পর্কে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ওই দেশের অর্থনীতি ‘হেভিওয়েট’। সেখানে ১ এপ্রিল থেকে নতুন আর্থিক বছর শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি আর্থিক বছরে সেখানে অর্থনীতির বিকাশ হবে ১.৫ থেকে ২.৮ শতাংশ। আগে ভাবা হয়েছিল, ভারতের অর্থনীতির বিকাশ হবে ৪.৮ থেকে পাঁচ শতাংশ।