বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তিনি দেশের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর। বর্ধিত লকডাউনে কোনও কোনও ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে কী ভাবে অর্থনীতিকে একটু চাঙ্গা করা যায়, সেই বিষয়েই দুজনের মধ্যে আলোচনা হয় বলে মনে করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবারই ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে কিছুটা অক্সিজেন জোগাতে ২০ এপ্রিলের পর থেকে কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। ই-কমার্স, গ্রামীণ শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি এবং কৃষিক্ষেত্রকে লকডাউনের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা সতর্কতা বজায় রেখেও কী ভাবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যায়, তারই গাইডলাইন নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
রাজ্যগুলির মধ্যে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পরিবহণেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। না হলে বিভিন্ন রাজ্যে নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সংকট দেখা দেবে বলে আশঙ্কা। ট্রাক চালকদের কথা মাথায় রেখে হাইওয়ের পাশে ধাবা এবং গাড়ি মেরামতে দোকানগুলিও খোলা রাখা হয়েছে।
ছাড় থাকছে মাছ, দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য, হাঁস-মুরগি পরিবহণ ও বিক্রিতে। চা, কফির উৎপাদন ও সরবরাহ, এবং রবার বাগানের কাজকেও লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে। গ্রামীণ অঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের কাজ এবং গ্রামাঞ্চলে রাস্তা, সেচ প্রকল্প, ভবন, শিল্প প্রকল্প নির্মাণের কাজেও মিলবে ছাড়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কয়লা, খনিজ, তেল উৎপাদন করা যাবে। আরবিআই, অন্যান্য ব্যাংক, এটিএম, সেবি ও বীমা সংস্থাগুলির কাজও চলবে।