দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র এখনও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। আদৌ লকডাউন বাড়বে নাকি, বুধবার থেকেই স্বাভাবিক জনজীবনে ফিরবে ভারত, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মধ্যে সোমবার কাজে যোগ দিলেন বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যা কিনা লকডাউন নিয়ে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিল।
সোমবার সকালে দেখা যায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, সার এবং রাসায়নিক মন্ত্রকের মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া, আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, ক্রীড়া দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কিরেন রিজিজু নিয়ম মাফিক নিজেদের দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন। পরে আরও বেশ কয়েকজন মন্ত্রী হাজিরা দেন। মন্ত্রীদের পাশাপাশি তাঁদের দপ্তরের কিছু শীর্ষ আধিকারিক এবং আমলাও আজ কাজে যোগ দিয়েছেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে মন্ত্রকের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠকও করতে দেখা যায়।
মাসখানেক আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ লকডাউন জারি হওয়ার আগে থেকেই দপ্তরে আসা বন্ধ করেন মন্ত্রীরা। সম্প্রতি, মন্ত্রী এবং সরকারি আমলাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যারা যারা সরকারের দেওয়া পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে দপ্তরে আসেন, তাঁদের দপ্তরে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে। কোনওরকম গণপরিবহণ ব্যবহার করা যাবে না। আসলে সংকটের সময় মন্ত্রকগুলিকে আরও সক্রিয় করতে সরকারের এই উদ্যোগ। আবার লকডাউন শেষের দুদিন আগে মন্ত্রীদের দপ্তর গমন, লকডাউন না বাড়ার ইঙ্গিতও হতে পারে। যদিও, এ বিষয়ে ক্রীড়া দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, ‘আমরা করোনা সংক্রান্ত গাইডলাইন মেনেই কাজ করব। যত কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে চলবে সরকারি দপ্তর।’