লকডাউনের জেরে বিপদে পড়েছেন দুঃস্থ মানুষজন। খাদ্যসংকটের জেরে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেকে। দুঃস্থদরে পাশে দাঁড়াতে রাজনীতিবিদ থেকে সমাজসেবী, বিনোদুনিয়ার তারকা থেকে ক্রীড়াবিদ অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। শামিল হয়েছেন মানবিক উদ্যোগ। তেমনই মানবিক কর্মযজ্ঞে শুরু করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিদিন নিজের ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের ৪০ হাজার মানুষের খাবার দায়িত্ব নিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে এই ঘোষণা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘কল্পতরু’ নামে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তার সংসদীয় এলাকার জন্য। যেখানে মূলত কমিউনিটি কিচেন পরিষেবা চালু করা হবে আগামী ১২ এপ্রিল থেকে। লকডাউন উঠুক বা না উঠুক, ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই কমিউনিটি কিচেনের মাধ্যমে মোট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের ৪০ হাজার মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব অভিষেকের। সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য মোট ২১টি কমিউনিটি কিচেন তৈরি করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে রান্না করা খাবার পৌঁছে যাবে মানুষের বাড়িতে। কাদের হাতে কীভাবে এই খাবার পৌঁছবে তাও জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক।
০৩৩৪০৮৭৬২৬২ এই নম্বরে ফোন করে আগামী ৯ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। টানা ৩ দিন চলবে এই রেজিস্ট্রেশন পর্ব। যদি কারও খাবার প্রয়োজন নাও হয় কিন্তু তিনি যদি দেখেন রাস্তায় বা কোনও দুস্থ পরিবারের কেউ অভুক্ত রয়েছেন অথচ তিনি রেজিস্ট্রেশন করে নিজের কথা জানাতে পারেননি, অভিষেকের আবেদন তাঁর হয়ে কেউ সে কথা জানিয়ে দিন। তিনি বলেছেন, ‘যতদিন আমি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ থাকব একটা পরিবারও অভুক্ত থাকবে না। কেউ অন্তত একবেলা না খেয়ে শুতে পারবেন না।’ লকডাউন পরিস্থিতি নিয়েও নিজের মত জানিয়েছেন অভিষেক। বলেছেন, নির্ধারিত ১৫ এপ্রিল লকডাউন উঠবে কিনা তা নির্ভর করছে সরকারি বিধি নিষেধ মানুষের শোনা বা না শোনার উপর। যত বেশি করে সামাজিক দূরত্ব রেখে মানুষ করোনা মোকাবিলায় নিজেকে সুস্থ্য রাখতে পারবেন তত দ্রুত লকডাউন তোলা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।