করোনা মোকাবিলাও হবে, আবার সাধারণ মানুষকে অশান্তিও ভোগ করতে হবে না। এক ঢিলে দুই পাখি মারতেই বাংলায় এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কলকাতা, রাজারহাট ও নিউটাউন এলাকায় থাকা মোট ৩১টি হোটেলে সুলভ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খুলেছে তারা। ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যেও রয়েছে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা। এবার মমতার দেখানো পথেই হাঁটল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ। এবার যোগী আদিত্যনাথ সরকার লখনউয়ের চারটি পাঁচ-তারা হোটেল অধিগ্রহণ করল করোনার মোকাবিলায় রাতদিন খেটে চলা ডাক্তার, চিকিত্সা কর্মী এবং প্যারামেডিকাল স্টাফদের রাখার জন্যে।
চারটি পাঁচ-তারা হোটেলের মধ্যে রয়েছে হায়াত রিজেন্সি, লেমন ট্রি, দ্য পিকাডেলি এবং ম্যারিয়ট গ্রুপের ফেয়ারফিল্ড। এই চারটি হোটেলকে অবিলম্বে রূপান্তরিত করা হবে মেডিকাল স্টাফদের কোয়ারানটিন জোন হিসেবে। যে সব ডাক্তার ও মেডিকাল স্টাফ করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সা করছেন তাঁদের জন্যেই এই ব্যবস্থা করা হল সরকারের তরফে। লখনউ-এর জেলা শাসক অভিষেক প্রকাশ জানিয়েছেন, যে সব ডাক্তার এবং চিকিত্সার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসছেন তাঁদেরও আক্রান্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। সেই সব বিষয় মাথায় রেখেই প্রশাসন এই পদক্ষেপ করেছে। নিজেদের শিফ্ট শেষ হলে, বাড়ি না ফিরে এই সব হোটেলেই থাকবেন ডাক্তার এবং অন্যান্য মেডিকাল কর্মীরা।