করোনার মারণ থাবা থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে মাত্র ২১ দিনের লক ডাউন যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন অন্তত মাস দুয়েকের নিষেধাজ্ঞা। তাহলেই করোনার বৃদ্ধিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। এমনটাই মনে করছে দেশের দুই গবেষণা সংস্থা। গত মঙ্গলবার দেশজুড়ে ২১ দিনের লক ডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘরে বসে থাকা এবং সামাজিক দূরত্বই করোনা ভাইরাস আটকানোর একমাত্র পন্থা। শুধু ভারত নয় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ এই ভাইরাস আটকাতে লক ডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ইনস্টিটিউট অব ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্স ও ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ নামের চেন্নাইয়ের দুই সংস্থা বলছে, করোনা রুখতে লক ডাউন কার্যকারী পন্থা বটে, কিন্তু মাত্র ২১ দিনে কাজ হবে না। অন্তত মাস দুয়েক গোটা দেশকে বন্দিদশায় রাখতে হবে।
ওই গবেষণা সংস্থা দুটির পরামর্শ, ২১ দিন নয়, তিন দফায় অন্তত মাস দুয়েক গোটা দেশকে লক ডাউনে রাখা হোক। প্রথম দফার ২১ দিন শেষ হলে দিন পাঁচেকের বিরতি দিয়ে ফের হোক ২৮ দিনের লক ডাউন। আবার ৫ দিন বিরতি দিয়ে হোক ২১ দিনের। একমাত্র এভাবেই করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙা সম্ভব। কারণ কার শরীরে সংক্রমণ হয়েছে, বা হতে পারে তা মাত্র ২১ দিনে বোঝা সম্ভব নয়। কারণ অনেক সময় সুপ্ত অবস্থায় থাকছে করোনার উপসর্গ।
এখন প্রশ্ন হল ভারতের মতো দেশে কি এত দীর্ঘ সময় লক ডাউন রাখা সম্ভব। এমনিতেই আর্থিকভাবে বেশ খানিকটা ধাক্কা খেয়েছে দেশ। এরপর আবার লক ডাউন বাড়ানো হলে অনাহারে মারা যাবেন বহু ভারতবাসী। তাছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেই দিয়েছে, শুধু লক ডাউন নয়, এবার আরও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন পরিকাঠামো।