ঝড় এসেছিল বুলবুলের হাত ধরে। টাকা এল করোনার হাত ধরে। ভারি মজার শুনতে লাগলেও এটাই চরম বাস্তব। এক বছর আগেকার সামুদ্রিক ঘূর্ণীঝড়ে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তার ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা এল করোনার দাপটের সময়ে। নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে কেন্দ্র এখন বুলবুলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০৯০.৬৮কোটি টাকা পাঠিয়েছে।
বস্তুত এর আগে বহুবার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে নানা সভায় নানা বৈঠকে বেশ ক্ষোভের সঙ্গেই বলতে শোনা গিয়েছে যে ‘বুলবুলের টাকা আমরা এখনও কেন্দ্রের থেকে পাইনি।’ তা ছাড়াও যখনই প্রধানমন্ত্রী বা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে বা বৈঠক হয়েছে তখনই মমতা তাঁদের সেই টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার অনেক আগে থেকেই কেন্দ্রের কাছে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থসাহায্য চাইছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই অর্থ সাহায্য আর আসছিল না কিছুতেই। অবশেষে ১০৯০.৬৮ কোটি টাকা দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বাংলা-সহ দেশের আটটি রাজ্যকে শুক্রবার মোট ৫৭৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। বাংলায় বন্যা, বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন বাবদ বরাদ্দ করা হয়েছে ১০৯৮ কোটি টাকা। গতবছর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে রাজ্যে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।