করোনাভাইরাসের প্রভাবে শুধু জনজীবনেই ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে তাই নয়, ইংল্যান্ডের ফুটবলও বড়সড় ধাক্কার মুখে। এক দিকে যখন তুমুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, অন্য দিকে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন ক্লাবের কর্মীরা।
একই সঙ্গে একটা অন্য প্রশ্ন ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে। তা হল, করোনাভাইরাস নিয়ে এই পরিস্থিতি কত দিন থাকবে? আপাতত ইংল্যান্ডেও সর্বত্র অচলাবস্থা। ইপিএলের ক্লাবগুলো ৩ এপ্রিল বৈঠকে বসবে। প্লেয়ারদের মাইনে সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে আলোচনার জন্য। এর মধ্যেও অবশ্য সিটির কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা স্পেনে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ১ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়েছেন।
প্রায় দিন পনেরো হল ইপিএল বন্ধ হয়ে গিয়েছে করোনার প্রভাবে। ইপিএলে ক্লাবগুলোর মূল আয়ের একটা বড় অংশ আসে টিভি স্বত্ব থেকে। কিন্তু লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টিভি স্বত্ব থেকে আয়ের একটা বড় অংশ এই ক্লাবেরা পাবে না। বড় ক্লাবগুলির ক্ষেত্রে যা প্রায় ৭৫ কোটি পাউন্ড করে। এতেই শেষ নয়, কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি টিমের খরচের বোঝাও কমানোর কথা ভাবতে হচ্ছে ক্লাবগুলোকে। একই সঙ্গে এও বলা হচ্ছে, ইপিএলের ক্লাবগুলো তাদের ফুটবলারদের বাকি মরসুমের পঞ্চাশ শতাংশ বেতন হয়তো স্থগিত রাখবে। ইতিমধ্যে বার্মিংহ্যাম সিটি তাদের প্লেয়ারদের ৫০ শতাংশ বেতন আটকে দিয়েছে।
লিডসের মালিক আন্দ্রেয়া রাদ্রিজানি বলেছেন, ‘পাঁচটা হোম ম্যাচ হয়নি। ওই ম্যাচগুলো হলে ২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড রোজগার হত ক্লাবের। যা না হওয়ায় কিছুটা হলেও আর্থিক ভারসাম্য নষ্ট করেছে ক্লাবের।’