ক্রমশ গোটা দেশে ত্রাস সৃষ্টি করছে করোনা ভাইরাস। বর্তমানে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬২। দুই বিদেশি নাগরিক-সহ মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ভারতে। বাংলাতেও আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। মৃত্যুও হয়েছে ১ জনের। করোনা সতর্কতায় সারা দেশ জুড়ে চলছে লক ডাউন। সাধারণ মানুষকে সতর্কতার খাতিরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর।
এই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় কী কী করা প্রয়োজন তা নিয়ে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে মমতা সরকারের স্বাস্থ্য দফতর।
সেখানে বলা হয়েছে –
১। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির আলো-বাতাস যুক্ত ঘরে থাকা অবশ্যই প্রয়োজন।
২। তাঁর পক্ষে একা একটা ঘরে থাকা সম্ভব না হলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অবশ্যই এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।
৩। ব্যবহার করতে হবে আলাদা বাথরুম।
৪। পরিবারের বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতী এবং কেউ অসুস্থ থাকলে তাঁদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা অবশ্যই প্রয়োজনীয়।
৫। এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগামী তিন সপ্তাহ বাড়ির বাইরে বেরোনোই অপরাধ।
৬। সেই ব্যক্তির আলাদা পাত্রে খাবার খাওয়া প্রয়োজন। সেই খাবারের পাত্র যেন অন্য কেউ ব্যবহার না করে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
৭। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। ২৪ ঘণ্টাই মাস্ক পরে থাকা প্রয়োজন। প্রতি ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা অন্তর মাস্ক পরিবর্তন করার কথাও বলা হয়েছে।
৮। জ্বর-সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে অবিলম্বে নির্দিষ্ট হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৯। পরিবারের কোনও একজন নির্দিষ্ট সদস্যই আপনার দেখাশোনা করবেন।
১০। বালিশ-বিছানা ঝাড়া থেকে বিরত থাকুন। ঘর পরিষ্কারের সময় মুখে মাস্ক আর হাতে গ্লাভস পরে নিন। এবং কাজ শেষে অতি অবশ্যই গ্লাভস খুলে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
১১। বাড়িতে এখন আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব কাউকে আসার অনুমতি দেবেন না।
১২। চেয়ার-টেবিল, দরজার হাতল কিংবা চেয়ারের হাতল ,জানলা এসব রোজ ব্লিচিং সলিউশন দিয়ে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
১৩। সাধারণ ভাবে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এইসময় স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা প্রতিদিন টেলিফোনে আপনার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেবেন। তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।