গতকালই তাঁর মা-বাবা আর বাড়ির পরিচারিকার শরীরে ধরা পড়েছে করোনা ভাইরাস। আর তারপর থেকেই আত্মগ্লানিতে ভুগছেন বালিগঞ্জের সেই করোনা আক্রান্ত যুবক। হাসপাতালে তাঁর বাড়ি থেকে মন পসন্দ নিরামিষ খাবার এসেছে। তবুও মন ভাল নেই সেই যুবকের। ক্ষণে ক্ষণে আক্ষেপ ঝরে পড়ছে গলায়, ‘কেন বিমানবন্দর থেকে বাড়ি গেলাম? কেন সরাসরি আইডি’তে এসে ভর্তি হলাম না?’
সপ্তাহখানেক আগে লন্ডন থেকে কলকাতায় ফিরেছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের পরামর্শমতো হোম কোয়ারেন্টাইনে না গিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন পাড়ার দোকান, কালীঘাটে নিজেদের শো-রুমে। মিশেছেন অগুনতি মানুষের সঙ্গে। এমনকী দক্ষিণ কলকাতার একটি মলেও তাঁকে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। বালিগঞ্জের ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলেটির দুই সহপাঠী কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছিলেন। তাঁরা একসঙ্গেই বিমানে লন্ডন থেকে কলকাতায় ফিরেছিলেন।
শেষে প্রতিবেশীদের চাপে আইডি’তে যান সেই যুবক। রিপোর্ট পজিটিভ হয়। বিপদ এড়াতে পরিবারের এগারো জন সদস্যকে রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। বাবা, মা ও বাড়ির পরিচারিকার শরীরে করোনার উপসর্গ ধরা পড়ে। তিনজনকেই আইসোলেশন নিয়ে সোয়াব টেস্ট হয়। রবিবার বাবা, মা ও বাড়ির পরিচারিকার রিপোর্ট আসে। দেখা যায়, তিনজনই কোভিড-১৯ পজিটিভ। তারপরই সেই ৩ জনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।