এই আতঙ্কের আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে জনতা কার্ফুর ডাক দিয়েছিলেন। তারপর আজ পাঁচটা থেলে লকডাউন শুরু। কিন্তু এই মারণ ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে শুধুমাত্র সমাজকে লকডাউন করা যথেষ্ট নয় বলে জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর মাইক রিয়ান।
তাঁর সাফ কথা, লকডাউনের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের উপরে আপাতত রাশ টানা সম্ভব হলেও ভবিষ্যতে তা ফের ফিরে আসতে পারে। এই মারণ ভাইরাসকে চিরতরে নির্মূল করতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত করার উপরে জোর দিয়েছেন তিনি।
এমনকী করোনাকে রুখতে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মডেল মেনে চলার জন্য অন্য দেশগুলিকে পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর। এই সংক্রমণ রুখতে এই সমস্ত দেশে লকডাউনের পাশাপাশি প্রত্যেক সম্ভাব্য রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিবিসি–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাইক রিয়ান বলেন, ‘শারীরিকভাবে দুর্বল এবং করোনাবাইরাসে আক্রান্তদের চিহ্নিত করে তাঁদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা সবথেকে বেশি প্রয়োজন। ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদেরও আইসোলেট করতে হবে। জনস্বাস্থ্য বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না করে শুধুমাত্র সমস্ত কিছু লকডাউন করে দেওয়ার এই ভাবনার মধ্যেই বিপদ সবথেকে বেশি। কারণ বিধিনিষেধ উঠে গেলে, লোকজনের অবাধ চলাচলে ফের এই রোগ ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রবল।’