করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গতকাল বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের তাবড় ক্রীড়াবিদেরা দেখিয়ে দিলেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধ। যাঁর মধ্যে রয়েছেন, মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকর, রোহিত শর্মা থেকে বীরেন্দ্র সেওয়াগ সহ আরও অনেকে।
সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিন কয়েক আগে আবেদন জানিয়েছিলেন রবিবার সকাল সাতটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত ‘জনতা কার্ফু’ পালন করার জন্য। একই সঙ্গে তিনি বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে গোটা দেশের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের হাততালি দিয়ে বা ঘণ্টা বাজিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জন্যও আবেদন রেখেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর যে আহ্বানে দেশবাসীর সঙ্গে সাড়া দিয়েছেন গোটা দেশের এই তারকা ক্রীড়াবিদেরাও। যার প্রমাণ হিসেবে কেউ দিলেন ছবির সঙ্গে বার্তা। কেউ বা পরিবার-সহ চিকিৎসকদের ধন্যবাদ দেওয়ার সেই ছবি টুইট করেছেন।
শচীন তেন্ডুলকর যেমন তাঁর বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আজ আমরা সব ভারতবাসী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করলাম। সকলে নিজের বাড়িতে থেকে আলাদা আলাদা ভাবে এই লড়াই জারি রাখলেও উদ্দেশ্য সবার এক। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এই লড়াই চালিয়ে যান ঐক্যবদ্ধ ভাবে। অক্লান্ত ভাবে যাঁরা আমাদের এই ভাইরাসের থেকে বাঁচাতে লড়ছেন, তাঁদের সবাইকে আমার ধন্যবাদ।’
বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য রোহিত শর্মা আবার টুইট করেন, ‘দেশ এই মুহূর্তে অত্যন্ত কঠিন ও বিপজ্জনক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবী সেই ক্ষত নিরাময়ের একটা রাস্তা দেখাল। স্বল্প সময়ে জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের ফলে কী ভাবে পরিবেশ দূষিত হয়ে করোনা ভাইরাস অতিমারি হতে পারে তা দেখা গেল। অনেক সময়ে আমরা অবাক হয়ে ভাবি, প্রতিকূল আবহাওয়ার বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে আমরা দেরি করে ফেলছি। কিন্তু প্রকৃতি দেখিয়ে দিল, এর উল্টোটাও হতে পারে। আর সেটা সম্ভব আমরা সবাই মিলে এগিয়ে এলে।’
আর এক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেওয়াগ রাস্তায় কাঁধে ঝোলা নিয়ে চলা এক ভবঘুরে ব্যক্তির হাততালি দেওয়ার ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘জনতার কার্ফুতে এই দৃশ্য দেখে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। এই ভাবেই আমাদের একতা এই কঠিন সময় পার হয়ে যেতে সাহায্য করবে। আশা রাখি, করোনাভাইরাস দ্রুত আমাদের দেশ থেকে বিদায় নেবে।’