অবশেষে বিচার পেল নির্ভয়া। সাত বছর আগে অপরাধীদের নিষ্ঠুর নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছিল ২৩ বছরের প্যারামেডিক্যালের ছাত্রীকে। তার মায়ের ধৈর্যের পরীক্ষাও আজ শেষ হল। অনেক বার তারিখ পিছনোর পর চার ধর্ষকের ফাঁসি কার্যকর হল। ফিরে দেখব ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের রাত।
নির্ভয়া কাণ্ডে অপরাধী ছিল ৬ জন। তাদের মধ্যে একজন নাবালক হওয়ায় তিন বছর পরই ছাড়া পেয়ে যায়। আর অন্যজন ২০১৩ সালের মার্চে আত্মহত্যা করে। বাকি চার জনের ফাঁসি হল আজ।
সেই রাতে দিল্লীতে সিনেমা দেখে বন্ধুর সঙ্গে বাসে চড়ে বাড়ি ফিরছিল মেয়েটি। চলন্ত বাসেই তাঁর উপর হামলে পড়ে দুষ্কৃতীরা। তাঁর উপর চলে নৃশংস অত্যাচার। কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েও শেষরক্ষা হয়নি। ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
দক্ষিণ দিল্লীর সাকেতের একটি সিনেমা হলে লাইফ অফ পাই মুভি দেখার পর রাত ৯টা নাগাদ বন্ধুর সঙ্গে অটোয় চড়ে মুনিরকা বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছয় মেয়েটি। ফেরার জন্য কোনও কিছু না-পাওয়ায় একটি বেসরকারি বাসে ওঠেন তাঁরা।
বিমানবন্দরের কাছে একটি ফ্লাইওভারে বাসটি উঠতেই কেবিন থেকে বেরিয়ে আসে তিনজন। তাদের মধ্যে দু জন নির্ভয়ার বন্ধুকে হেনস্থা করতে শুরু করে। এত রাতে মেয়েটিকে নিয়ে সে কোথায় যাচ্ছে, এই সব প্রশ্ন করা হয়।
একদিকে চলতে থাকে ছেলেটিকে মারধর, সেই সময় বাকিরা একে একে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করতে থাকে নির্ভয়াকে। নির্ভয়ার যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে তাঁকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয় দুষ্কৃতীরা।
এরপর তাদের উপর লুঠপাট চালিয়ে চলন্ত বাস থেকে তাঁদের ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় ৮ নং জাতীয় সড়কের উপর। তাঁদের ওই অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। চাদর দিয়ে তাঁদের ঢেকে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সফদরজং হাসপাতালে।