গত শুক্রবারই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। গত ৫ আগস্ট থেকে গৃহবন্দী থাকতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁর মুক্তির পরেই এবার ছেলে ওমর আবদুল্লার মুক্তি নিয়ে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওমর আবদুল্লাকে যদি কেন্দ্র ছাড়তে চায় তবে তা যেন তাড়াতাড়ি ছাড়ে, নাহলে ওমরের বোনের আর্জির শুনানি শুরু করবে আদালত।
কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ওমর আবদুল্লাকে যদি তারা ডিটেনশন থেকে মুক্তি দিতে চায় তাহলে সেই সিদ্ধান্ত যেন দ্রুত নেওয়া হয়। তা না হলে, ওমর আবদুল্লার বোনের আর্জি তারা শুনবেন। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমরের এই বন্দীদশার বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। যদিও এখনও পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, বন্দীদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই সবার প্রথম প্রশাসনের কাছে ছেলের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়েছিলেন ফারুক। তা মঞ্জুর হতেই শনিবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে গাড়ি চালিয়ে শ্রীনগরের হরি নিবাসে পৌঁছন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই আটক করে রাখা হয়েছে ওমর আবদুল্লাহকে।
গত বছরের ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হবে। সেদিনই ওমর আবদুল্লাহ ও মেহমুবা মুফতিকে আটক করে প্রশাসন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফারুক আবদুল্লাকেও আটক করা হয়। পরে রাজ্যসভায় জানানো হয়, জনসুরক্ষার আইনে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, কোনও ট্রায়াল ছাড়াই এই আইনে দু’বছর পর্যন্ত যে কোনও ব্যক্তিকে আটক করে রাখা সম্ভব।