করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বহুদিন ধরেই সব ধরনের জমায়েত বন্ধ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি কারও সঙ্গে কথা বলার সময়ও নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে চলতে বলা হচ্ছে। এরকম এক অবস্থায় দিল্লীর শাহিনবাগে বিক্ষোভকারীদের তুলতে সেখানে পৌঁছাল পুলিশ। মঙ্গলবার শাহিনবাগে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সরাতে যান রেসিডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ও দিল্লী পুলিশ। তবে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীরা সেই অনুরোধে রাজি হয়নি। এই নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে পুলিশের।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২৮। করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে এখনও আব্ধিভপ্রথম দশায় রয়েছে ভারত। এর পর রয়েছে দ্বিতীয় দশা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অবস্থাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগামী ৩০ দিন করোনা ঠেকিয়ে রাখতে পারলে অনেকটাই চিন্তামুক্ত হবে ভারত। তাই সচেতনতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর সরকারও।
এদিকে, কর্ণাটক, দিল্লীর পর এবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হল মহারাষ্ট্রের এক জনের। ভারতের করোনা আক্রান্তের মধ্যে রয়েছেন ২২ জন বিদেশি। এছাড়া দিল্লীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ , উত্তরপ্রদেশে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩, কর্ণাটকে ৮ ও মহারাষ্ট্রে এই সংখ্যা ৩৯। তবে বাংলায় এখনও শ’খানেক ব্যক্তিকে নজরদারিতে রাখা হলেও, তাঁদের মধ্যে এখনও করোনার মারণ থাবা লক্ষ্য করা যায়নি।