করোনা ভাইরাসের মারণ থাবা থেকে এখনও অবধি নিরাপদ রয়েছে বাংলা। এই দাবি অনেক আগেই করেছিল রাজ্য সরকার। যদিও করোনা আক্রমণ রুখতে যা যা সর্তকতা অবলম্বন করার তা সবই করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। তবে এই অবস্থায় কোনও মতেই যেন গুজব না ছড়ান হয়। মঙ্গলবার নগরবাসীর উদ্দেশ্যে এমনটাই বার্তা দেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এই অবস্থায় জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের থেকে কলকাতা পুরসভাকে দেওয়া হবে ৫০,০০০ মাস্ক। এছাড়া রাজ্য সরকারের কাছে ১২,০০০ স্যানিটাইজার চেয়েছে কলকাতা পুরসভা।
এদিন করোনা প্রসঙ্গে মেয়র জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী গতকাল নবান্নের বৈঠকে সচেতনতা বৃদ্ধিতে যা যা নির্দেশ দিয়েছেন সেসব নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে পুরসভা। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল তৈরি করেছেন। সেই তহবিলের আওতাধীন হয়েছে কলকাতা পুরসভা সাফাই কর্মীরা।’ এছাড়াও বাংলায় করোনা রুখতে সমস্ত রকম ব্যবস্থাই গ্রহণ হয়েছে বলে জানান মেয়র। তাই অযথা করোনা আতঙ্ক না ছড়ানোর আবেদন করেন তিনি। বলেন, ‘শহরে যেখানে বেশি জল জমে সেসব জায়গায় তিনটি পর্যায়ে দিনে জঞ্জাল পরিষ্কার করা হবে। কলকাতায় যেখানে জমায়েত বেশি হয় সেসব জায়গায় হাত ধোয়ার সাবান ও স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা করা হবে।’
এ বিষয়ে একইভাবে শহরবাসীকে আশ্বস্ত করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ জঞ্জাল অপসারণ দেবব্রত মজুমদার। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে এদিন তিনি বলেন, ‘কোথাও জঞ্জাল দেখলেই জাস্ট একটা ফোন করুন কলকাতা পুরসভায়। কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুম নাম্বার 033 22861031/ 1212/ 1313 /1414। তিন ঘন্টার মধ্যে ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
অন্যদিকে করোনা রুখতে ইতিমধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। অতীনবাবু বলেন, ‘প্রত্যেকটি বোরোতে একটি করে বিশেষ টিম তৈরি করা হচ্ছে। ৬-৫ জন প্রতিনিধি থাকবে সেই দলে। এছাড়াও থাকবে টিমের প্রত্যেকের জন্য পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট। তাঁরা যখন কোনও সন্দেহভাজন রোগীর কাছে যাবেন তখন এই পোশাক পরে নেবেন। পাশাপাশি প্রতিটি বোরোতে থাকবে থার্মাল স্ক্যানিং গান।’