প্রথম ইনিংসে ৪২৫ রান করেছে সৌরাষ্ট্র। ম্যাচ যে দিকে এগোচ্ছে তাতে বলে দেওয়াই যায় যে, প্রথম ইনিংসের ফলে নির্ধারিত হতে চলেছে রঞ্জি জয়ের ভাগ্য। তবে বাংলা শিবির এখন তাকিয়ে সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও ঋদ্ধিমান সাহার দিকে। অভিমন্যু ঈশ্বরন, সুদীপ ঘরামি ও মনোজ তিওয়ারি আউট হওয়ার পরে তাঁদের লড়াই সাহস জোগাচ্ছে শিবিরে।
তবে দলের মূল ভরসা অনুষ্টুপ মজুমদারকে এখনও নামতে হয়নি। রয়েছেন শাহবাজ আহমেদ, অর্ণব নন্দীও। উপরের সারির ব্যাটসম্যানেরা ফিরে যাওয়ার পরেও লড়াই করে দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন শেষ ছয় ব্যাটসম্যান। কিন্তু ফাইনাল ও বাকি ম্যাচের চাপ এক নয়। দিনের শেষে তিন উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করা দল এখনও পিছিয়ে ২৯১ রানে।
বুধবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ৩৮৪-৮ স্কোরে শুরু করেছিল সৌরাষ্ট্র। তিন রান যোগ হওয়ার পরে নবম উইকেট হারায় তারা। প্রাক্তন বাঁ-হাতি স্পিনার দিলীপ দোশী বলছিলেন, ‘‘চারশোও হবে না।’’ ৩৮ রান যোগ করে তাঁর ধারণা পাল্টে দেন শেষ জুটি।
অরুণ লাল যদিও বলছিলেন, ‘‘এটা তো স্বাভাবিক। আমার নীচের সারির ব্যাটসম্যানদের ২৯০ রান যোগ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে”। উড়িষ্যার বিরুদ্ধে ৪৬-৫ থেকে ৩৩২ রান করেছেন অনুষ্টুপ মজুমদারেরা। কর্নাটকের বিরুদ্ধে ৬৭-৬ থেকে ৩১২ রানে গিয়ে থেমেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাকে পিছিয়ে রাখা যাচ্ছে না।