প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট তীব্র হওয়ার পর থেকেই তাঁর ও তাঁর ঘনিষ্ঠ ১৭ জন বিধাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। তার ফলে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছিল।
যদিও দিগ্বিজয় সিং জানিয়েছিলেন, সোয়াইন ফ্লু হওয়ায় সিন্ধিয়ায় সঙ্গে কথা বলা যাচ্ছে না। তবে সেই বক্তব্য যে একেবারেই ঠিক নয়, তা বোঝ গেল কিছু পরেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন জ্যোতিরাদিত্য। প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক চলার পর বেরিয়ে এসে ইস্তফা পেশ করেন তিনি। সোনিয়াকে ধন্যবাদ জানালেও বেশ কিছুদিন ধরে তিনি মধ্যপ্রদেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলেন না বলে জানিয়েছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। মঙ্গলবার সন্ধেতেই তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিকে, ইস্তফা দেওয়ার পরই তাঁকে বহিষ্কার করেছে কংগ্রেস।
সোমবার মাঝরাতে মধ্যপ্রদেশে শুরু হয় মহানাটক। কমলনাথ মন্ত্রিসভার সমস্ত সদস্যই সোমবার রাতে পদত্যাগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ সকলের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার কথা স্বীকার করে সংবাদিকদের বলেন, ‘মাফিয়াদের সাহায্যে অচলাবস্থা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। ওদের সফল হতে দেব না।’ তিনি জানান, মঙ্গলবার ফের নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। সূত্রের খবর, এ দিন রাতে একসঙ্গে ২২ জন মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে। কংগ্রেসের বিধায়কেরা হঠাত্ করে বেপাত্তা হয়ে যান। এমনকী তাঁরা ফোন ধরাও বন্ধ করে দেন। যদিও এ ছবি নতুন কিছু নয়। অতীতেও নানা রাজ্যে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি কর্নাটকেও এমন নাটক হয়েছে।