মধ্যপ্রদেশের টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই গুজরাত থেকে সুখবর পেল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গড়েই আরএসএসের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদকে ধরাশায়ী করে দিল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই। গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট এবং স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার বোর্ডের নির্বাচনে এবিভিপিকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিল এনএসইউআই।
মোদীর গড় গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বিভাগে নির্বাচন হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটের আটটি আসনের মধ্যে ৬টি পেয়েছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। বাকি দুটি গিয়েছে এবিভিপির দখলে। স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার বোর্ডের ১৪ আসনের মধ্যে এনএসইউআইয়ের দখলে গিয়েছে ৯টি আসন। বাকি পাঁচটি গিয়েছে এবিভিপির দখলে। উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরেই গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় এবিভিপির শক্ত ঘাঁটি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল ২০১৬ সালে। চারবছর পর নির্বাচন হতেই বাজিমাত করল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। এই নিয়ে গত কয়েকমাসে চারটি বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরাশায়ী হতে হল এবিভিপিকে। জেএনইউ, যাদবপুরে তো দাগ কাটতে পারেইনি, উলটে নিজেদের গড় বারাণসীর সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ও হাতছাড়া হল আরএসএসের ছাত্র সংগঠনের।
গুজরাতে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের এই জয় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মোদীর রাজ্যে ২৫ বছর ক্ষমতায় নেই কংগ্রেস। ২০১৭ নির্বাচনে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও সাফল্য অধরা থেকেছে। এই পরিস্থিতিতে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় হাত-শিবিরকে অক্সিজেন জোগাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জয়ের পর এনএসইউআই গুজরাতের তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘গুজরাতেরর যুবসমাজ বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে।’ ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেসও এই জয়ের সেলিব্রেশনে শামিল হয়। তাঁদের দাবি, গুজরাত জুড়ে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনের ফলাফল তারই প্রমাণ।