করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দিনের পর দিন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই ভাইরাসের এখনও কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, তবে প্রতিরোধের বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে। বলে হচ্ছে, এই রোগ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে নিজেরা স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে সাবধানতা মেনে চলুন। আর এই সচেতনতামূলক বার্তা এখন মোবাইলের কলার টিউনেও শোনা যাচ্ছে। পরিচিতকে ফোন করলে এখন লাইন পাওয়ার আগে কিছুক্ষণ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সচেতন করার বার্তা শোনা যাচ্ছে। মানুষকে বার বার সচেতন হওয়ার জন্যই বলছেন চিকিৎসকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস (কোভিড–১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে এবার বেসরকারি হাসপাতালকেও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দফতর। সংক্রমণ প্রতিরোধে কী করবেন, কী করবেন না- সেগুলি বাংলা, ইংরেজি ও অলচিকি ভাষায় নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। জানা গেছে পৃথক আইসোলেশন কেবিন তৈরির নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। সঙ্গে ভেন্টিলেটর যুক্ত আইসিইউ।
যদি কেবিন না হয় তাহলে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশ থেকে আসা রোগীদের জন্য বিশেষ চিকিৎসক দল থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলি স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। আমরি গোষ্ঠী হাসপাতালের সিইও রূপক বড়ুয়া বলেন, ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি থেকে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছি।’