কাঁকড় মাড়িয়ে ধুলো পায়ে একসময়ে চষেছেন গোটা জঙ্গলমহল। জননেত্রী তিনি। আদিবাসী— কোল, ভিল, সাঁওতাল, আর্থিকভাবে পিছিয়ে–পড়া মানুষের দুঃখ–দুর্দশা প্রত্যক্ষ করেছিলেন তখনই, আজকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও ভোলেননি জঙ্গলমহলের আপাতভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর কথা। তাই প্রায় গোটা বছর ধরেই জঙ্গলমহলের জন্যে একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন মমতা। যার মধ্যে অন্যতম জঙ্গলমহল বিশ্ববিদ্যালয়। যেন তাঁরই ‘স্বপ্ন’–এর স্বীকৃতি। যে আদিবাসী মানুষদের উন্নয়ন তাঁর কাজের তালিকায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে, সেই ভাবনাকেই পুরস্কৃত করল জঙ্গলমহলের একটি শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘জঙ্গলমহল স্বীকৃতি’ সম্মান দিল পুরুলিয়ার সিধো–কানহো–বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। মমতার হয়ে তা গ্রহণ করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সম্মান গ্রহণ করে পার্থ বললেন, ‘আমি গর্বিত। তাঁর এই সম্মান পাওয়ায় আমি খুশি। একসঙ্গে বহুদিন কাজ করছি। সেই কলেজ থেকে। তাঁর এই সম্মান প্রাপ্য। জঙ্গলমহলের জন্য মমতা যা করেছেন তা কেউ করেননি। বাংলার প্রতিটি পড়ুয়ার জন্যে মমতা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তা আগে কেউ করেননি। সকলের সমস্ত সমস্যার সমাধান করেছেন মমতা”।
এদিন একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পিএইচডি এবং স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণদের সম্মান জানানো হয়। সমাবর্তন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কৃষক মরছে, বেকারত্ব বাড়ছে, সেদিকে প্রধানমন্ত্রীর নজর নেই। দেশের অর্থনীতির দফারফা হচ্ছে। ভারতবর্ষ জ্বলছে বেকারত্বের জ্বালায়। দিল্লির ঘটনা আমাদের গোটা বিশ্বের কাছে অপমানিত করেছে। ওই ঘটনা মানুষে মানুষে বিভেদ এনেছে। ধর্ম পরিচয় কখনওই কাম্য নয়।’