দিল্লীর আগুনের গনগনে আঁচ পৌঁছে গেল বাংলায়, ‘গোলি মারো’ স্লোগান উত্তপ্ত হয়ে উঠলো মহানগরীর রাজপথ। কিন্তু বিজেপি নেতারা এতেও কোনও ভুল দেখছেন না। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যেমন বলেই দিয়েছেন, গুলি তো আর চালায়নি। আরেক বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু আরও এককাঠি উপরে উঠে বলেছেন, ‘গদ্দার’দের গুলি মারলে অসুবিধা কি? মিরজাফরদের কামান দাগা উচিত। তাঁর ভাবখানা এমন, যেন দেশের ‘গদ্দার’ চিহ্নিতকরণের দায়িত্ব বিজেপির কাঁধেই এসে পড়েছে। সায়ন্তন বসু বলেছেন, ‘গুলিতে কাজ না হলে কামান দাগা উচিত।’
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য প্রথমেই সাফ করে দিয়েছিলেন দল যে বিতর্কিত স্লোগান দেওয়া সমর্থকদের পাশেই আছে। তারপর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও স্পষ্ট করে দেন যে এই ধরনের স্লোগানে তাঁর কিছুই আসে যায় না। এটা সামান্য ঘটনা। হাজার জনের মধ্যে একজন কে কী বলল, তাতে কিছু আসে যায় না। আপনারা বাড়াবাড়ি করে দেখাচ্ছেন। গোলি মারো স্লোগান আমি মনে করি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনাদের কাছে এটা ১০০ শতাংশ সেনসেশনাল। কিন্তু আমার কাছে এই ধরণের জিনিস ০.১ শতাংশ গুরুত্বপূর্ণ।
তবে সায়ন্তন বসু সবাইকে ছাপিয়ে গিয়ে সেই সব পুলিশ আধিকারিকদের হুমকি দিয়েছেন যারা ওই বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করেছেন। সায়ন্তন বলেন, ‘যে পুলিস অফিসারদের নেতৃত্বে গ্রেফতার করা হয়েছে, বিজেপি সরকারে এসে তাঁদের দেখে নেবে।’ প্রসঙ্গত, গ্রেফতার হওয়া তিন বিজেপি কর্মী হলেন, সুরেন্দ্র কুমার তিওয়ারি, ধ্রুব বসু ও পঙ্কজ প্রসাদ। এদিন তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারপতি একজনের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে বাকি দুই ধৃতকে পুলিশি হেফাজতেই রাখার নির্দেশ দেন তিনি।