রাজ্যে আনন্দধারা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত মেয়েরা আমাদের সম্পদ। এরা অর্থনীতি ও সমাজনীতি সর্বক্ষেত্রেই যুক্ত রয়েছেন। এরচেয়ে বেশি অহঙ্কার দফতর আর নেই।’ এমনই বললেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
এদিন শরৎ সদনে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার প্রতিটি প্রকল্পে গুরুত্ব দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সমাজ গঠনের কাজ করে দিচ্ছে। বলেন, ‘কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যে আনন্দধারা প্রকল্পে আমাদের প্রচার কম।’ আনন্দধারার কাজ নিয়ে আরও প্রচার করা হবে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার বিকেলে হাওড়ায় এক অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, আনন্দধারা সারা ভারতে প্রথম হয়েছে। দেশব্যাপী এর উৎকর্ষতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসছে। নারীরা পরিবারের পাশাপাশি সমাজকেও সাবলম্বী করছে। কী ভাবে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা আনবেন, কিভাবে সেই টাকা পরিশোধ করবেন, তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়েই মহিলাদের স্বনির্ভর করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ মহিলাদের জন্য টাকার ব্যবস্থা করে উন্নত জীবনযাপনের পথ প্রশস্ত করা হয়। বলেন, ‘রাজ্যে আনন্দধারা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত মেয়েরা আমাদের সম্পদ। এরা অর্থনীতি ও সমাজনীতি সর্বক্ষেত্রেই যুক্ত রয়েছেন। এরচেয়ে বেশি অহংকারের দফতর আর নেই।’
এদিন ‘মেগা সেলফ হেল্প গ্রুপ ক্রেডিট ক্যাম্প’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সুব্রত বলেন, আনন্দধারা প্রকল্পে জেলার ১১০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।