কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ-কে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল গোটা দেশ। অবিলম্বে এই আইন প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে দেশের অন্দরে। এক আইনকে কেন্দ্র করে ভারতের এহেন টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝেই এবার মোদী সরকারের চাপ আরও খানিক বাড়িয়ে দিল ব্রিটিশ সরকার। সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় ইংল্যান্ড সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারত সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন একটি বিভাজন মূলক আইন।
গত মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের হাউস অফ লর্ডসে এক বিতর্ক সভায় ভারতের সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ব্রিটেন। পাশাপাশি দিল্লীতে শান্তি প্রতিষ্ঠারও আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার ব্রিটেনের মন্ত্রিসভায় ভারতের এই বিতর্কিত আইনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা যেখানে ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী জানান, ‘এই আইনকে কেন্দ্র করে গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে যেভাবে আন্দোলন শুরু হয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে এই আইন বিভাজনের আইন। ব্রিটিশ সরকারেরও এই আইনকে নিয়ে উদ্বেগের কারণ রয়েছে। আমাদের ভারতীয় প্রবাসীদের মধ্যেও এই আইন যে বিভেদ তৈরি করেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।’ ব্রিটেনের সংসদে সিএএ নিয়ে এহেন বার্তায় মোদী সরকারের যে চাপ বাড়ল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যতই দাবি করা হোক না কেন এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন নেওয়ার নয়, তবে এই আইনের পিছনে অন্য চাল দেখছে দেশ। প্রথমত সিএএ থেকে বাদ রাখা হচ্ছে মুসলিমদের। অনুমান করা হচ্ছে সিএএ তে প্রথমে নাগরিকত্ব দেওয়ার পর এনআরসি আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তা যদি হয় তবে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে কি পেশ করতে হবে তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। পাশাপাশি, দেশে এমন বহু মানুষ রয়েছে যারা দীর্ঘকাল ধরে ভারতের বাসিন্দা হলেও তাদের কাছে কোনও কাগজ নেই। সব মিলিয়ে আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলনে উত্তাল গোটা দেশ।