সিএএ-এনআরসি-এনপিআর নিয়ে বাংলাতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদে সরব হয়ে পথে নেমেছেন। কিন্তু জাতীয় স্তরে এখনও অবধি এনআরসি বা সিএএ বিরোধী কোনও বৈঠকে তিনি অংশগ্রহণ করেননি। এ নিয়েও বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিকতা নিয়ে। যদিও তাতে ভ্রু-ক্ষেপ করেননি মমতা। এমনকি, আজ ভুবনেশ্বরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করা নিয়েও তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো হয়েছে। কারণ আজ মিটিংয়ের পর একই টেবিলে বসে দুপুরের খাওয়ার খেয়েছেন অমিত শাহ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরা এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেও পুরো বিষয়টিই হয়েছে প্রোটোকল মেনে।
ভুবনেশ্বরে এদিন পুর্বাঞ্চল জোনাল কাউন্সিলের এই বৈঠকে মমতা ছাড়া আরও চার রাজ্যের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠক মূলত পাঁচ রাজ্যের নিরাপত্তা সম্পর্কিত। বিগত ২৩ বছর ধরে হয়ে আসছে। এবার ২৪ তম বছর। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে অবশ্য দিল্লীর ঘটনা নিয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, ‘আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যা চলছে, কেন চলছে এসব জানি না। আমরা লক্ষ্য রাখছি। আমি মনে করি সবাইকে শান্তি রাখা দরকার। আমাদের দেশ শান্তির দেশ, মানবতার দেশ, সবাইকে নিয়ে একসাথে চলার দেশ। ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে হিংসার কোনও স্থান নেই। আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
এই বৈঠকের পর এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাঞ্চ সারলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে। এই ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মমতার বৈঠক নিয়েও হইহই শুরু হয়েছিল। তারপর অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর একসঙ্গে লাঞ্চ করার বিষয়টা মোটেও ভাল চোখে দেখছে না মমতা বিরোধীরা। তবে নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনেই যে এসব পালন করতে হয়, তা হয়ত বিরোধীরা ভুলে গিয়েছেন। এমনটাই মত তৃণমূল নেতাকর্মীদের।