কিছুদিন আগেই দিল্লী বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে চূড়ান্তভাবে পরাস্ত করে জিতেছে তাঁর দল। আর ফল বেরোনোর ১০দিনের মধ্যেই উত্তর-পূর্ব দিল্লীতে হিংসা শুরু হয়ে যায়। এ নিয়ে অনেকে আম আদমি পার্টির দিকে আঙুল তুললেও, অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ আপ নেতারা দায় ঝেড়ে বলে দিচ্ছিলেন, তাঁদের হাতে পুলিশ নেই। কিন্তু এর মধ্যেই কেজরিওয়ালের দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। দিল্লীর হিংসায় সক্রিয় ভাবে আপ কর্মীদের যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। আর তারপরেই এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তা নিয়েই মুখ খুললেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন কেজরিওয়ালকে প্রশ্ন করা হয়, তাহির হুসেন নামের এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে হিংসা ছড়ানোর। প্রশ্ন শুনেই উত্তেজিত হয়ে যান কেজরিওয়াল। বলেন, ‘আপের কেউ যুক্ত থাকলে তাঁকে ডবল সাজা দেওয়া হোক।’ তাহিরের বাড়ির ছাদ থেকে ইটবৃষ্টির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। অভিযোগ, ওই ইটবৃষ্টিতেই আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মার মৃত্যু হয়েছে।
কেজরিওয়াল আরও বলেন, ‘দাঙ্গা যারা করছে বা দাঙ্গায় যারা উস্কানি দিচ্ছে, তাঁদের বিজেপি, কংগ্রেস বা আপ বলবেন না। তাঁরা দাঙ্গাকারীই। তাঁদের ধরে ধরে জেলে পোরা হোক। আর আপের কেউ যুক্ত থাকলে তাঁর ডবল সাজা হোক।’ তাঁর কথায়, ‘আমার হাতে পুলিশ নেই। থাকলে আমিই শক্ত অ্যাকশন নিতাম।’ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেন, ‘আমার মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা হোক।’
দিল্লীর হিংসা নিয়ে বিরোধীরা অমিত শাহ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ব্যর্থতার কথা বললেও অনেকেই আম আদমি পার্টিকেও সমালোচনার বাইরে রাখছেন না। তাঁদের বক্তব্য, দুদিন আগে যাঁরা বিপুল জনসমর্থন নিয়ে জিতল তাঁদের জনপ্রতিনিধি, কর্মীদের ভূমিকাটা কী? মাঠে ময়দানে নেমে তাঁরা যদি হস্তক্ষেপ করতেন, সংগঠনকে নড়াচড়া করাতেন তাহলে অনেকাংশেই এই হিংসা আটকানো যেতে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।