সোমবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল ছবি। যার ফলে সহজেই শনাক্ত করে ফেলা গিয়েছিল লাল রঙের টিশার্ট পরে থাকা সেই বন্দুকবাজকে, পিস্তল উঁচিয়ে পুলিশ কর্মীকে তাড়া করেছিল যে। যার গুলিতেই প্রাণ গিয়েছে আর এক পুলিশকর্মীর। অবশেষে সোমবার রাতেই মৌজপুরের সেই বন্দুকবাজ মহম্মদ শাহরুখকে আটক করল দিল্লী পুলিশ। গতকাল উত্তর দিল্লীর জাফরাবাদ, চাঁদবাগ, মৌজপুর, ভজনপুরা, খেজুরি, গোকুলপুরী, করদমপুরী ও কারাওয়াল নগর- এই এলাকাগুলি জুড়ে অশান্তি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেসব জায়গায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দিল্লী। সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ফের সংঘর্ষ বাঁধে সিএএ বিরোধী ও সিএএ সমর্থনকারীদের মধ্যে। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। একে অপরকে লক্ষ্য করে ছুঁড়তে থাকে পাথর। দুপুর একটা নাগাদ ভজনপুরার একটি পেট্রোল পাম্পে ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন। আগুন নেভাতে দমকলের একটি ইঞ্জিন এলে সেটিতেও ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। ভজনপুরা-যমুনা বিহার সীমান্তে দুটি স্কুল বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাস্তায় নামে কমব্যাট ফোর্স।
আর এরই মাঝে এক যুবককে দেখা যায় পিস্তল উঁচিয়ে পুলিশের দিকে এগিয়ে যেতে। পুলিশ কর্মী তাকে বাধা দিতে এলে পিস্তল উঁচিয়ে আরও সামনের দিকে এগিয়ে যায় যুবক। মহম্মদ শাহরুখ নামে ওই যুবকের পেছনে ছিল আরও একদল যুবক। যারা ক্রমাগত পাথর ছুঁড়তে থাকে পুলিশকে লক্ষ্য করে। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে একা পুলিশকর্মীকে পেয়ে তাঁর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায় সে। এরপর শতাধিক মানুষের মধ্যে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যেতে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায়। আর সর্বোপরি পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে এক পুলিশকর্মীর মুখের দিকে বন্দুক তাক করতেও দেখা গিয়েছে শাহরুখকে।