অ্যারোজ ম্যাচেই ছন্দে ফিরেছিল দল। এবার মণিপুরের ট্রাউ এফসিকে গোলের মালা পরাল ইস্টবেঙ্গল। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ট্রাউয়ের ঘরের মাঠে পিছিয়ে থেকেও চার-চারটি গোল করে ইস্টবেঙ্গল। যদিও দুটি গোলও হজম করে তারা। তবে পরপর দুটি ম্যাচ জিতে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল লাল-হলুদ শিবির। এখনও পুরোপুরি নিভে যায়নি মশাল, প্রমাণ করলেন কোলাডো-ব্র্যান্ডনরা। এই জয়ের ফলে ১৩ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়াল ১৮। লিগের চার নম্বরে উঠে এল লাল-হলুদ শিবির।
বিপক্ষের ঘরের মাঠে দর্শক ঠাসা স্টেডিয়ামে ১৮ মিনিটেই প্রিন্সওয়েল এমেকার গোলে পিছিয়ে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সতীর্থ দীনেশ সিংহের থেকে থেকে বল পেয়ে এমেকা যখন ট্রাউকে ১-০ এগিয়ে দিলেন, তখনও অগোছাল ইস্টবেঙ্গল। মনে হচ্ছিল ফের সেই হারের ভূত ঘাড়ে উঠে পড়ল।
কিন্তু কোচ মারিয়োর বিশেষত্ব হল, তিনি পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত পাল্টা চাল দেন। বিরতির কিছু আগে লালরিনডিকা রালতের জায়গায় ব্র্যান্ডন আর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আনসুমানা ক্রোমার পরিবর্তে ভিক্তর আলোন্সোকে নামিয়ে দিলেন সেই চাল দিলেন তিনি। আর তাতেই বদলে যায় ইস্টবেঙ্গলের ছন্দ। শুরু হয় খুয়ান মেরা-কোলাডো যুগলবন্দি। কখনও বা মেরা-কোলাডো-ব্র্যান্ডনের ত্রিভুজ প্রতি-আক্রমণ। যা বিপক্ষ রক্ষণে চাপ বাড়াচ্ছিল। সঙ্গে ভিক্তরের নিখুঁত পাস বাড়ানোর দক্ষতা। এরই ফল, ৫২ মিনিটে কোলাডোর ডান পায়ের জোরালো শটে গোল। ৬৭ মিনিটে কাশিমের গোলও এই প্রয়াসেরই ফসল। এর দু’মিনিট পরেই খুয়ান মেরার সঙ্গে যুগলবন্দিতে গোল করে যান ব্র্যান্ডন। ৭৬ মিনিটে মার্কোস দে লা এস্পারা পেনাল্টিতে ৪-১ করার পরে কিছুটা আত্মতুষ্ট হয়ে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ফলে শেষ মুহূর্তে ওগুচি উচে পেনাল্টিতে ব্যবধান কমান।
ম্যাচ শেষে স্বস্তির সুর ইস্টবেঙ্গল কোচের গলায়। মারিয়ো বলে দিলেন, ‘‘দলের খেলায় আমি সন্তুষ্ট।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘লিগ তালিকা নয়। ম্যাচ প্রতি তিন পয়েন্ট নিয়ে ফেরাটাই আপাতত পাখির চোখ। এ ভাবে এগোতে পারলে লিগের শেষে দেখা যাবে শীর্ষে থাকা দলের সঙ্গে আমাদের ব্যবধান কত।’’