গত বছরেই আসামে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম। কিন্তু এই তালিকাতে রয়েছে অনেক ভারতীয়ের নামও। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। আর তালিকা যে নির্ভূল হয়নি, তা এবার পরিষ্কার হয়ে গেল এনআরসির সঙ্গে যুক্ত কো–র্অডিনেটর হীতেশ দেবশর্মার বক্তব্যে।
গতবছর আসামে এনআরসির যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে অনেক অযোগ্য ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এই ধরনের ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানতে প্রত্যেক জেলার কমিশনারদের নির্দেশও দিয়েছেন হীতেশবাবু।
এই নিয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কো–অর্ডিনেটর হীতেশ দেবশর্মা জেলার আধিকারিকদের চিঠি লিখেছেন। অযোগ্য ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেও চেয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, ৩১ আগস্ট প্রকাশিত তালিকায় এরকম অনেক নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
অযোগ্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন নামে পরিচিত। যাদের মধ্যে রয়েছে ডাউটফুল ভোটারস, ডিক্লেয়ার্ড ফরেনার্স, কেসেস পেন্ডিং এগনেস্ট ফরেনার্স ট্রাইবুনাল, ডেসেডেন্টস অফ ডাউটফুল ভোটারস, ডিএফডি এবং পিএফটিডি। সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আসাম পাবলিক ওয়ার্কস সুপ্রিম কোর্টে এনআরসির ১০০ শতাংশ ভেরিফিকেশনের দাবি তোলে। তাদের দাবি আসামে প্রায় ৮০ লক্ষ বিদেশি অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। এই সংস্থার দাবি এই প্রথমবার এনআরসির অফিস স্বীকার করে নিয়েছে, অযোগ্য ব্যক্তিদের নাম তালিকায় উঠেছে। ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া আসাম এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট। সেখানে ৩ কোটি ৩০ লক্ষের মধ্যে আবেদনকারীর মধ্যে ১৯ লক্ষের নাম বাদ পড়েছিল।