ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে কোনটা মাঠ আর কোনটা পিচ, সেটাই বোঝা দুষ্কর। একেবারে সবুজ মখমলের গালিচা বিছানো ২২ গজ। আর এহেন গ্রিন টপে ভারত হোঁচট খাবে না, তা কি হয়? নবাগত জেমিসন বা অভিজ্ঞ বোল্ট, প্রথম দিনেই একেবারে ঝাঁকিয়ে দিলেন ভারতের ব্যাটিং লাইন আপকে। মাত্র ৫৫ ওভারে টি’র সময়েই ১২২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করে দিল ভারত। ভাগ্যিস বৃষ্টি এসে আজকের মতো খেলা পণ্ড করে দিল, না হলে হয়তো প্রথম দিনেই ফিল্ডিং করতে নামতে হতে হত বিরাট বাহিনীকে।
এদিন টস জিতে বেসিন রিজার্ভের সবুজ উইকেটে ভারতকে প্রথমে ব্যাটিং করতে আমন্ত্রণ জানান কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। পৃথ্বী শকে ১৬ রানে সাজঘরে ফেরালেন টিম সাউদি। তারপরেই কাইলসের ক্যারিশমা। পর পর তুলে নিলেন চেতেশ্বর পূজারা (১১) এবং ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে (২)। ৪০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে তখন ভারত। এরপর মায়াঙ্ক আগরওয়াল আর রাহানে জুটি ভারতকে স্বস্তি দেয়। লাঞ্চ বিরতিতে ভারতের রান ছিল ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৯।
টেস্ট সিরিজ শুরু হতেই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের কঙ্কালসার ছবিটা সামনে উঠে এল। ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভের সবুজ উইকেটে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ডাঁহা ফেল। কাইল জেমিসন, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদিদের দাপটে দিশেহারা কোহলি-পূজারারা। নিউ জিল্যান্ডের সব থেকে লম্বা পেসার (ছয় ফুট আট ইঞ্চি উচ্চতা তাঁর) কাইল জেমিসনকে ঘরোয়া ক্রিকেটে সামলাতে হিমশিম খান ব্যাটসম্যানরা। কোহলিদের শায়েস্তা করতে একদিনের সিরিজে নামানো হয়েছিল কিল্লা জেমিসনকে (নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেট সার্কিটে তিনি কিল্লা নামে জনপ্রিয়)। ওয়েলিংটনে সেই কিল্লাতেই কিস্তিমাত্ করে দিল কিউইরা। অভিষেক টেস্টেই কোহলির উইকেট তুলে নিলেন তিনি।
লাঞ্চের পরেই মায়াঙ্ককে ৩৪ রানে ফেরান বোল্ট। ব্যর্থ হনুমা বিহারীও। করেন মাত্র সাত রান। ফেরালেন সেই জেমিসন। নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে ঋদ্ধিমান সাহার পরিবর্তে সুযোগ পান ঋষভ পন্থ। রাহানে-পন্থ জুটি কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন চা পানের বিরতির আগে। চা পানের বিরতিতে ভারতের স্কোর ছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান। ৩৮ রানে অপরাজিত রাহানে, ১০ রানে নটআউট পন্থ। জেমিসন নেন ৩টি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন বোল্ট আর সাউদি। টি-ব্রেকের পর আর এক বলও খেলা হয়নি বৃষ্টির জন্য। প্রথম দিনের খেলা ওখানেই শেষ করতে হয়।