রাস্তা আটকে ২ মাস ধরে বিক্ষোভ চলতে পারে না, এই মর্মে দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে দাবি জানানো হয়।
সেই দাবির শুনানিতে পাল্টা সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, দেশের শীর্ষ আদালতের দাবি, আন্দোলন অসাংবিধানিক নয়। আন্দোলন জনতার অধিকারের মধ্যেই পড়ে। শাহিনবাগের আন্দোলনকারীরাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে বিকল্প জায়গা দিলেও শাহিনবাগ ছাড়বেন না তারা।
শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই মধ্যস্থতাকারী সঞ্জয় হেগড়ে ও সাধনা রামাচন্দ্রন। প্রত্যেক আন্দোলনকারীর সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলে তাঁদের মত জানতে চান দুই মধ্যস্থতাকারী।
কিন্তু সরে যেতে রাজি নন শাহিনবাগের আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নন, কথা বলতে আসতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, যদি সাধারণ মানুষের যাতায়াতে সমস্যা তৈরি হয় তাহলে বিকল্প জায়গা দিতে হবে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করতে হবে।
আন্দোলনকারীদের দাবি, রাস্তায় বসে আন্দোলন করলেও তাঁরা অ্যাম্বুলেন্স, বাচ্চাদের স্কুল ইত্যাদি জরুরি পরিষেবা কখনও আটকে রাখেননি। তাই শাহিনবাগ ছাড়ার প্রশ্নই নেই।